ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব দত্তের হাতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান খুন হয়েছে। এসময় ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা আহত হয়েছেন। নিহত আব্দুল মান্নান ঠাকুরগাঁও রোড ইসলাম নগর এলাকার মৃত তসির উদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তদন্ত এটিএম শিফায়াতুল মাজদার সিফাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীরের ছোট ভাই সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সজিব দত্তের সাথে দুদিন আগে সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নানের সাথে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে কথাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে যুবলীগ নেতা সজিব দত্ত আব্দুল মান্নানকে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ওই ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের মুন্সিরহাট এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল মান্নানকে দেখতে পেলে যুবলীগ নেতা সজিব দত্ত ও শান্ত পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জুম্মন বাচাঁনোর জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে আব্দুল মান্নান মারা যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা জুম্মনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল চৌধুরী জানান, নিহত আব্দুল মান্নান সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ছিল। এছাড়া এ ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুম্মন ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সদর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালের কাছে জানতে চাইলে সজিব দত্ত সদর থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) এটিএম শিফায়াতুল মাজদার সিফাত জানান, পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই খুনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
পরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল ও পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ হাসপাতালে আহত জুম্মনকে দেখতে গিয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। খুনের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিকে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে হাসপাতাল ও শহরের গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।