জিপি নিউজঃ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান এম এ আজাদের (৪৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে নগরের কালীবাড়ি রোডে বেসরকারি মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৯ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি কোতোয়ালি) মো. রাসেল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মমতা হাসপাতালের ৯ কর্মীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার তদন্ত ও বিভিন্ন আলামত উদ্ধারে থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই এবং সিআইডি পুলিশের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
চিকিৎসক এম এ আজাদ মমতা হাসপাতালের সপ্তম তলায় একাই বসবাস করতেন। তাঁর পরিবার ঢাকায় থাকে। তাঁকে খাবার সরবরাহ করেন তাঁর এক সহকারী। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ইফতারি দিতে এসে তাঁর কক্ষে তালা দেওয়া দেখতে পান ওই সহকারী। তিনি বাইরে গেছেন মনে করে দরজার সঙ্গে ইফতারি ঝুলিয়ে রেখে যান ওই সহকারী। এরপর রাত ৯টার দিকে রাতের খাবার দিতে এসে সহকারী একই অবস্থা দেখেন। পরে রাতের খাবারও দরজার সামনে রেখে যান। গতকাল দিবাগত রাতে সেহরির সময় চিকিৎসক এম এ আজাদের স্ত্রী ঢাকা থেকে মুঠোফোনে বারবার কল দিয়েও তাঁকে পাচ্ছিলেন না। পরে তাঁর স্ত্রী বিষয়টি বরিশাল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক জহুরুল হককে ফোন করে জানান। অধ্যাপক জহুরুল আজ সকাল ৬টার দিকে ওই হাসপাতালের ৭ তলায় গিয়ে দেখেন, চিকিৎসক আজাদের কক্ষটি তালাবদ্ধ। এরপর তিনি বরিশালের কোতোয়ালি থানায় ফোন করেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ গিয়ে কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে মুঠোফোন বিছানার ওপর রাখা। বাইরে পরার জামা-কাপড় সবই কক্ষের ভেতরে আছে। পরে পুলিশ পুরো হাসপাতাল তল্লাশি করে। একপর্যায়ে নিচতলায় লিফটের নিচে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁর পরনে নীল রঙের একট ট্রাউজার এবং গায়ে ফুলহাতার একটি গেঞ্জি ছিল।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সার্জন সুদীপ কুমার হালদার বলেন, চিকিৎসক আজাদ একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা জানা যায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
তিনি বলেন, তাঁর হাত, মাথায় কোনো আঘাত দেখা যায়নি। পায়ের দিকটা ভাঙাচোরা আছে বলে মনে হচ্ছে।