জিপি নিউজঃ চিকিৎসা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে লন্ডন যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই যুক্তরাজ্য সফরে যাবেন তিনি। আগামী ১৫ কিংবা ২২শে জুলাই লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। এই দুইটি তারিখ ছাড়াও এ মাসের মধ্যেই তৃতীয় আরেকটি সম্ভাব্য তারিখ বিবেচনায় রেখে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সফরসঙ্গী হিসেবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাচ্ছেন দলের একজন তরুণ নেতা, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার ও গৃহকর্মী ফাতেমা। একই সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য ও এক ভাইস চেয়ারম্যানেরও লন্ডনে যাওয়ার কথা রয়েছে। দলটির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। চিকিৎসাজনিত কারণে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে অন্তত ৬ সপ্তাহ লন্ডনে অবস্থান করবেন খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি লন্ডনের কিংস্টনে বড় ছেলে তারেক রহমানের ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করবেন। এ সময় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন। সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সফরের মধ্য দিয়েই চূড়ান্ত হবে নির্বাচন কিংবা আন্দোলনের রোডম্যাপ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখাটি লন্ডনে নিয়ে যাবেন খালেদা জিয়া। সেখানে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে সহায়ক সরকারের খসড়াটির মধ্যে প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন নিয়ে পরামর্শ করবেন। সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক সরকারের দাবিটি মানা না হলে পরবর্তী করণীয়, আন্দোলনে যেতেই হলে তার ধরন ও প্রক্রিয়া, নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষক ও আন্তর্জাতিক মহলের মনোভাব নিয়েও আলোচনা করবেন। লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পরই সহায়ক সরকারের রূপরেখাটি জাতির উদ্দেশে উত্থাপন করবেন। সূত্র জানায়, দলের শীর্ষ এ দুই নেতার আলোচনায় সাংগঠনিক বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পাবে। সাংগঠনিক বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনের আগে দলের স্থায়ী কমিটির তিনটি ফাঁকা পদ পূরণ, এক নেতা এক পদ নীতির বাস্তবায়ন এবং কয়েকটি অঙ্গ সংগঠনের পুনর্গঠন। সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচন এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়েও আলোচনা করবেন। বিশেষ করে নির্বাচন ইস্যুতে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান নির্ধারণ, জোটের নেতাদের মনোনয়ন এবং আসন চূড়ান্তকরণসহ নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতির কৌশল নিয়েও আলোচনা করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। কারণ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে গেলে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্দিষ্ট আসনগুলোতে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বিএনপিকে যে বার্তা দিতে হবে সেটা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সূত্র জানায়, এছাড়া লন্ড?নে সফরকা?লে আন্তর্জাতিক মহলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে দুয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। ফেরার পথে তিনি সৌদি আরব যাবেন এবং ওমরাহ করে দেশে ফিরবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ই সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি চোখের অপারেশন ও বাতের চিকিৎসা নিয়ে ২১শে নভেম্বর দেশে ফেরেন ।