জিপি নিউজঃ একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ খারিজ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করে দেন আদালত।
গত ১৭ জানুয়ারি রিট আবেদনকারী উপযুক্ত পক্ষ না হওয়ায় আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করিয়ে নেন রিটকারী। এর পর ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন নতুন করে একই বিষয়ে পুনরায় রিট করেন।
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।
আদেশের পর ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গণমাধ্যমকে জানান, আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন।
৮ জানুয়ারি সংবিধান অনুসারে দশম জাতীয় সংসদ না ভেঙে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপিদের নেয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম তাওহীদের পক্ষে নোটিশটি পাঠান মাহবুব উদ্দিন খোকন।
নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে- সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় এমপিদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সে অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে পুনরায় সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ায় বর্তমানে দুটি সংসদ বহাল রয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থী। কিন্তু সে নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিটে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সে অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে পুনরায় সংসদ সদস্যরা শপথ নেওয়ায় বর্তমানে দুটি সংসদ বহাল রয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থী।
কিন্তু সে নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার খোকন এ রিট করেন। এর পর গত ১৬ জানুয়ারি রিটটির ওপর শুনানি শেষ হলে গত ১৭ জানুয়ারি আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। তবে আদেশের দিন রিট আবেদনকারী উপযুক্ত পক্ষ না হওয়ায় আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করিয়ে নেন রিটকারী। এর পর ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নতুন করে একই বিষয়ে পুনরায় এ রিট করেন।
রিট করে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছিলেন, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে- সংসদের মেয়াদোত্তীর্ণ হলে আগের সংসদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এরা দায়িত্ব পালন করবেন। সে অনুযায়ী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ৩ জানুয়ারি নেয়া শপথে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী- শপথের জন্য নির্বাচিতদের উচিত ছিল ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করা। এ জন্য আমরা বলেছি- গেজেটের মাধ্যমে এ শপথ বাতিল করতে।
আর অনুচ্ছেদ ১৪৮(৩) এ বলা হয়েছে- এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের আগে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সে ক্ষেত্রে শপথগ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
অনুচ্ছেদ ১২৩(৩) এ বলা হয়েছে- তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিরা, উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্য রূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।