জিপি নিউজঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে এবং কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ সিন্ধান্তের কথা জানায় নির্বাচন কমিশন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছিলেন, ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং দুই সিটির যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ বিকালে নেয়া হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনে নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে এই আয়োজন করা হয়।
সিইসি বলেন, সারা বছর বিভিন্ন নির্বাচন থাকে। আজকে বিকালে কমিশনসভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া নতুন ওয়ার্ডে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, কিছু দিন আগে একটি বড় নির্বাচন হলো। সেখানে আপনাদের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে আপনাদের যেসব বিষয়ে ঘাটতি আছে বলে মনে হয়েছে, সেগুলো এই প্রশিক্ষণ থেকে জানার চেষ্টা করবেন।
এ সময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক মারা গেলে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ইসি এই আদেশের বিপক্ষে আপিল করে। পরে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে, সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে গেজেট প্রকাশের পর শপথ না নেয়ায় আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কিশোরগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ফেব্রুয়ারী।
এর আগে কমিশন জানিয়েছিল, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের বিষয়ে জাতীয় সংসদের চিঠির অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
এর আগে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, স্পিকার মহোদয়ের চিঠি পেয়েছি আমরা। নির্বাচিতদের গেজেটও হয়েছিল; কিন্তু কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শপথ নিতে পারেননি। তিনি ৩ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেন। স্পিকারের চিঠির পর এ অবস্থায় পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে বিষয়টি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, দশম সংসদের সদস্য থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। আবার একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি জয়ী হন। তবে তিনি নির্বাচিত সদস্য হলেও শপথ নিতে পারেননি। এ অবস্থায় তার আসনে নির্বাচনের জন্য ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে কী না তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন কর্মকর্তারা।
তবে কেউ কেউ বলেছেন, যেহেতু তিনি শপথ নেননি এবং মারা গেছেন, তাই তার আসনে শূন্য হওয়ার ক্ষেত্রে ৯০ দিন অপেক্ষার প্রয়োজন হবে না। তবে বিএনপি ও গণফোরামের যে ৮ সদস্য এখনও শপথ নেননি, তাদের ক্ষেত্রে (ভোটে নির্বাচিত কেউ) ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তার আসন শূন্য হয়ে যাবে।