জিপি নিউজঃ টেস্ট ক্রিকেটের ১৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কে ২১৩ রানে অলআউট করে এক ইনিংস ও ১৮৪ রানে জিতল বাংলাদেশ। এর আগে স্বাগতিকদের বড় জয় ২২৬ রানের। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ ব্যবধানে জেতে তারা। রানের ব্যবধানে উইন্ডিজের বিপক্ষে এই জয়টি সর্বোচ্চ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৫০৮ রানের জবাবে ১১১ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে ফলোঅনে পড়ে সফরকারীরা। ৩৯৭ রানে পিছিয়ে থেকে পরে ব্যাট করতে নেমেও শুরুটা শুভ হয়নি তাদের।
সূচনালগ্নেই ফিরে যান দুই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও অতিথি শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন সাকিব। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান তিনি। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ছোবল মারেন মিরাজ। কাইরন পাওয়েলকে মুশফিকুর রহিমের স্ট্যাম্পিং করে ফেরান তিনি।
খানিক বাদে সুনিল আমব্রিসকে এলবিডব্লিউ করে প্রতিপক্ষদের চাপে ফেলেন তাইজুল ইসলাম। এর মধ্যে রোস্টন চেজকে মুমিনুল হকের ক্যাচে পরিণত করে বিপর্যয়ে ফেলেন তিনি।
সেই বিপর্যয়ের মধ্যে শিমরন হেটমায়ারকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন শাই হোপ। সফলও হচ্ছিলেন তারা। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেননি মিরাজ। সাকিবের ক্যাচ বানিয়ে হোপকে (২৫) ফিরিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভাঙেন তিনি। এতে হেটমায়ারের সঙ্গে তার ৫৬ রানের জুটি ভাঙে। স্পিনে দক্ষ এ ব্যাটসম্যান ফিরতে ফের পথ হারায় উইন্ডিজ।এর পর পরই নাঈমের শিকার হয়ে ফেরেন শান ডাওরিচ। স্লিপে দারুণ ক্যাচে তাকে ফেরান সৌম্য সরকার।এরপর মিরাজ-সৌম্য যুগলবন্দি। তাদের জোটের কামড়ে ফেরেন দেবেন্দ্র বিশু।
একে একে সবাই ফিরলেও শিকড় গেঁড়ে বসেন হেটমায়ার। খাদের কিনারে থেকেও টাইগার বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালান তিনি। রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান। স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যান। তবে তা হতে দেননি মিরাজ। মোহাম্মদ মিঠুনের তালুবন্দি করে তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন তিনি। ফেরার আগে ৯২ বলে ৯৩ রান করেন হেটমায়ার। ৯ ছক্কার বিপরীতে মাত্র ১টি চারে এ বিধ্বংসী ইনিংস সাজান তিনি।
এর আগে ফলোঅনের শঙ্কা নিয়ে তৃতীয় দিন খেলতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় দিনের ৫ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে নতুন দিনে খেলা শুরু করে সফরকারীরা। হেটমায়ার ৩২ ও ডাওরিচ ১৭ রান নিয়ে খেলতে নামেন। স্বাভাবিকভাবেই তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল তারা।
ক্যারিবীয় শিবিরে শেষ পেরেকটি ঠুকেন সাকিব। তৃতীয় শিকার হিসেবে শারমন লুইসকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান তিনি। এতে ১১১ রানে অলআউট হয় উইন্ডিজ। ফলে ৩৯৭ রানে পিছিয়ে ফলোঅনে পড়েন অতিথিরা।