জিপি নিউজঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল সরকারি হাসপাতালের যথাযথ রক্ষনাবেক্ষণের পাশাপাশি আগত রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণকে সেবা দেয়াটা আপনাদের দায়িত্ব। পাশাপাশি এগুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কারণ, এগুলোর নির্মাণে সরকারকে অনেক কষ্ট করে বাজেট বরাদ্দ করতে হয়েছে।’
‘স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কাজেই আমরা আশা করবো আপনারা চিকিৎসা সেবাটাকে আপনাদের কেবল পেশা হিসেবে নয় মহান দায়িত্ব হিসবে গ্রহণ করবেন,’যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর মহাখালীস্থ বক্ষব্যাধি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে শেখ রাসেল গ্যাস্টোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ভবন উদ্বোধন এবং আরো কয়েকটি স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনকালে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং ইনশাল্লাহ জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো।’
জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের অংশ বিশেষ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালিকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবেনা এবং তাঁদের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনিও খেলতে পারবেনা।’
অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার এ্যাট শের-ই- বাংলা নগর এর উদ্বোধন এবং বিএমআরসি ভবন মহাখালী, ঢাকা’র উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ, শের-ই- বাংলা নগর এর উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দি হাসাপাতাল শের-ই- বাংলা নগর-এর উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ, কিডনী ডিজিজেজ এন্ড ইউরোলজি হাসপাতাল শের-ই- বাংলা নগরের সম্প্রসারণ কাজ, ৫শ’ বেড হাসপাতাল মুগদা’র সার্ভিস ব্লকের সম্প্রসারণ, নার্সিং এন্ড মিডওয়াফারি ভবন মহাখালী, অ্যাজমা সেন্টার মহাথালী’র সম্প্রসারণ এবং কনষ্ট্রাকশন অব হেলথ ম্যানেজমমেন্ট, সাভার-এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন হয়েছে সেগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে এবং এগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে আমাদের স্বাস্থ্যসেবার ভিত্তিটা আরো মজবুত হবে, উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমি একটা অনুরোধ করবো এই ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতাল-যে প্রতিষ্ঠানগুলিই আমরা তৈরী করি না কেন, সেই প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সুন্দরভাবে চলে, ভালো ভাবে চলে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘এখানে মানুষ যাতে সেবা পায়। মানুষকে সেবা দেওয়াটাই হচ্ছে সবথেকে বড় কাজ। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সুন্দরভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং যুগোপযোগী করা এবং সুন্দরভাবে যেন এগুলো পরিচালিত হয়-সেইটুকু আপনাদের কাছে আমি চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার অনেক কষ্ট করেই আজকের এই বাজেট বৃদ্ধি করেছে। ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করে এক একটা পরিকল্পনা পাস করছে, কাজেই এই তৈরী করা স্থাপনাগুলো যেন গুণে ও মানে অটুট থাকে।
বাংলাদেশের মানুষের দোড়গোড়ায় তাঁর সরকার স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে কাজেই মানুষ যেন সেবাটা পায় এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়, -বলেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালিক, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম শিশির এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
সুত্র- বাসস