জার্মানি ও উত্তর কোরিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদ্বয় আজ বিকেলে বঙ্গভবনে পৃথকভাবে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
দুই আবাসিক রাষ্ট্রদূত হলেন জার্মানির পিটার ফারেনহোলৎজ এবং উত্তর কোরিয়ার পাক সং ইয়োপ।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বাসস’কে বলেন, রাষ্ট্রদূতদ্বয়কে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ আশা প্রকাশ করেন যে, তাদের দায়িত্বের মেয়াদকালে উভয় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উত্তরোত্তর সম্প্রসারিত হবে।
আবদুল হামিদ জার্মানির রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই চমৎকার।
তিনি বলেন, ‘দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরো বাড়ানোর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে জার্মানির বিনিয়োগের বহু সুযোগ রয়েছে।’
আবদুল হামিদ বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূতদ্বয়ের নিজ নিজ দেশের কল্যাণে এ সকল সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বাংলাদেশ ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী।
জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সফর বিনিময় বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বিশেষ করে জিডিপি বৃদ্ধির হারের প্রশংসা করে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, ৭ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি সত্যিই বাংলাদেশ সরকারের এক বিশাল অর্জন।
পিটার মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ ভূখন্ডে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
পরে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি হামিদ উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক বাড়াতে গৃহীত তাদের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
এ পদক্ষেপকে দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, এর থেকে দু’দেশই লাভবান হবে।
রাষ্ট্রপতি আগামীদিনগুলোতে উত্তর কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূতদ্বয় এখানে দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে তাদের দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বঙ্গভবন সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূতদ্বয় গণভবনে এসে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর)-এর একটি চৌকস দল তাদের আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করে।
সুত্র বাসস