জিপি নিউজঃ রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য হুমকি মন্তব্য করে তার অপসারণ দাবি করেছে বিএনপি। সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব রুহুল কবির রিজভী এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, সরকার এটর্নি জেনারেলকে দিয়ে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিদের ধামকি দেয়ার মধ্য দিয়ে সরকারের রূপ ফুটে ওঠেছে। তারা যে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের জেল-জুলুমসহ মিথ্যা মামলায় নানাভাবে হয়রানি করছে তা প্রধান প্রধান আইন কর্মকর্তার হুমকি-ধামকির মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সরকার এই এটর্নি জেনারেলকে দিয়েই বিগত কয়েকটি বছর বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জেল-জুলুম দিয়ে পর্যদস্ত করার জন্য আদালতে নানা কারসাজি করার চেষ্টা চালিয়েছে। এটর্নি জেনারেল গণতন্ত্র নিধনে সরকারি কর্মসূচি বাস্তবায়নে আদালতে নিয়মিতভাবে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই এটর্নি জেনারেল স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি এক হুমকি।
দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমানে বিচার বিভাগের যেকোনো স্বাধীনতা নেই সেকথা প্রধান বিচারপতি বারবার স্পষ্ট করে বলেছেন। এমনকি দেশের সাধারণ নাগরিকরাও প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত পোষণ করেন। দেশের প্রতিটি মানুষ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে থাকলেও বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার চায় না যে, বিচার বিভাগ স্বাধীন হোক।
সরকার দেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার অর্থনীতিকে বারোটা বাজিয়ে দেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে এখণ চরম মিথ্যাচার করছে। দেশের অর্থ বাস্তবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবিদ্ধ বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস থেকেও আরো কম। কারণ ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই লুটপাটের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধনও বর্তমান শাসকগোষ্ঠী খেয়ে ফেলেছে। আস্থার সংকটে বর্তমানে আর্থিক খাতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ প্রায় শূন্যের কোঠায়।
তিনি বলেন, সরকারের তরফ থেকে প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে সেটি বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর মিথ্যাচারেরই একটি অংশ। সুতরাং নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রবৃদ্ধি নিয়ে ক্ষমতাসীনদের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে এর সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। বরাবরের মতোই আসন্ন বাজেট যে ক্ষমতাসীন দলের লোকদের চাওয়া-পাওয়ার ওপর লক্ষ্য রেখেই রচিত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা যে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নির্দ্বিধায় মিথ্যার বিভ্রান্তি ছড়াতে পারেন তা দেশবাসী জানেন।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এটর্নি জেনারেলের অপসারণ দাবি বিএনপির
Facebook Comments