জিপি নিউজঃ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং আকার একান্তই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখতিয়ার।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ কক্ষে বাংলাদেশে সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী পরিচালক জেমস গোলসেনের নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
‘নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কেমন হবে’ এমন প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এটা পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। গতবারের ব্যাপারটা ছিল ভিন্ন, গতবার বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করতে চেয়েছি, তাদের মন্ত্রিত্ব দিতে চেয়েছি, বেগম খালেদা জিয়া প্রত্যাখ্যান করেছেন। এবার কী হবে এটা প্রধানমন্ত্রী জানেন।’
তিনি বলেন, যে সরকার নির্বাচনকালে থাকবে সেটা নির্বাচনকালীন সরকার। এই সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এই সময় সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করে, যে কোনো মূল্যে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবো।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। তবে কেউ যদি আগামী নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, সরকার তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে ছাড় দেবে না, সরকার বসে থাকবে না।
ইভিএম প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইভিএম ব্যবহার সরকারের নয়, ইসির সিদ্ধান্ত। পৃথিবীর এমন একটি দেশের নাম বলুন যেখানে নির্বাচন হওয়ার পর বিতর্ক ওঠেনি? এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ইভিএম ব্যবহার করা হয়। তবে বিএনপি এই নির্বাচন কমিশন গঠনের দিন থেকেই তার বিরোধিতা করছে। তারা যেকোনও ভালো কাজেরই বিরোধিতা করে, সমালোচনা করে।
সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা’র সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে সরকার বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘কে কোথায় বসে কী মিটিং করলো তা নিয়ে আমরা ভাবি না। আমরা ভাবি বাংলাদেশকে নিয়ে। শেখ হাসিনা একজন সৎ, দক্ষ ও কর্মঠ রাজনীতিবিদ। এখন তাঁর ভাবনা আগামী ১০০ বছর নিয়ে। শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা বারবার হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রকারীরা টেকেনি। এর মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা বারবার ব্যর্থ হয়েছে, কোনও ষড়যন্ত্র টেকেনি।’
নতুন রাজনৈতিক জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনি জোট গঠন যে কেউ করতে পারে। এতে আমাদের কোনও আপত্তি নাই। ড. কামাল হোসেন জীবনে কোনও নির্বাচনে ভোটে জয়ী হননি। যেবার জিতেছিলেন সেটি বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া আসনে। আওয়ামী লীগ থেকে তাকে দুইবার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তিনি দুইবারই পরাজিত হয়েছেন।
সুত্র- বাসস