জিপি নিউজঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু পৌঁছলে তাঁকে এখানে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
তিনি বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)-এর ৪র্থ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের সরকারি সফরে এখানে পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট নেপালের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পোখারেল এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক ও নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এখানে প্রধানমন্ত্রীকে নেপালী সেনাবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
অভ্যর্থনা পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রীকে একটি সুশোভিত মোটর শোভাযাত্রাসহকারে তাহাচেল মার্গ এলাকায় হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। নেপাল সফরকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী এ হোটেলেই অবস্থান করবেন।
কাঠমান্ডুর হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় আজ বিকেলে ৭টি সদস্য রাষ্ট্রের সরকার প্রধানদের নিয়ে বিমসটেক সম্মেলন শুরু হবে।
শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শার্মা ওলী এবং ভুটানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান দাশো সেরিং ওয়াংচুকের বৈঠকের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সম্মেলনের যোগদানকারী অন্যান্য নেতৃবৃন্দ নেপালের রাষ্ট্রপতির বাসভবন শীতল নিবাসে দেশটির রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
তিনি নেপালের রাষ্ট্রপতির দেয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জোটের সদস্য দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজা হোটেলে ৪র্থ বিমসটেক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ প্রধানতঃ সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজের উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পরে শেখ হাসিনা এবং অপর নেতৃবৃন্দ স্থানীয় হায়াৎ রিজেন্সি হোটেলে তাঁদের সম্মানে দেয়া নেপালের প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে যোগ দেবেন।
শুক্রবার সকালে সাত দেশের নেতৃবৃন্দ বিমসটেকের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একই দিন বিকেলে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই উপ-আঞ্চলিক সংস্থাটি ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণার মধ্যদিয়ে গঠিত হয়। এই জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও শ্রীলংকা এই পাঁচটি দক্ষিণ এশিয়া এবং মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড এই দু’টি হচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ।
সুত্র- বাসস