জিপি নিউজঃ পহেলা সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এই সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ‘প্যাকেজ’ কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে।
তবে সমাবেশের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। একই সঙ্গে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি সম্বলিত লিফলেট ও পোস্টার সারা দেশে বিতরণেরও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য সমাবেশের কথা নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হবে। শিগগিরই যৌথ সভা করে সমাবেশের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন থেকে বিএনপি রাজপথে নামতে চায়। এদিন রাজধানীসহ সারা দেশে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নেবে দলটি। দু-এক দিনের মধ্যে সব সাংগঠনিক জেলা নেতাদের এ ব্যাপারে অবহিত করা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগে অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে দলের সিনিয়র নেতাদের।
দলের নীতিনির্ধারক সূত্রে জানা গেছে, একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আন্দোলনের রূপরেখা প্রায় চূড়ান্ত। মূলত এরই অংশ হিসেবে সমাবেশ করবে বিএনপি। পহেলা সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ওইদিনই সমাবেশের অনুমতি চাইবে দলটি। সমাবেশের অনুমতি না পেলে ওইদিন ‘র্যালির’ কর্মসূচি দেয়া হবে। আর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের যে কোনো দিন ফের সমাবেশের অনুমতি চাইবে দলটি।
সূত্র জানায়, আন্দোলন ও নির্বাচন ইস্যুতে সোমবার সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক ছাত্র নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দিন আলম প্রমুখ।
সভায় চলমান আন্দোলন ও নির্বাচন ইস্যু ছাড়াও দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৈঠকে উপস্থিত সব নেতার মতামত নেন মহাসচিব। এতে সব নেতাই একই সুরে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না তারা। একই সঙ্গে তার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কঠোর কর্মসূচির ব্যাপারে মত দেন তারা। এ সময় দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে মহা সমাবেশ করার ব্যাপারেও মত দেন নেতারা। পরে সমাবেশের ব্যাপারে সাবেক ছাত্রনেতাদের প্রস্তাবে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন বিএনপি মহাসচিব।
বৈঠকে অংশ নেয়া এক নেতা যুগান্তরকে জানান, দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নীতিগতভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে সমাবেশের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। একই সঙ্গে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি সম্বলিত লিফলেট ও পোস্টার সারা দেশে বিতরণেরও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সুত্র- যুগান্তর-