জিপি নিউজঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আরিফুল হক চৌধুরী ৬২০১ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোটের ফল পাওয়ার পর বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এই জয়ের মাধ্যমে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র হলেন তিনি।
দুই কেন্দ্রের ভোটে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২১০২ ভোট। আওয়ামী লীগের প্রাথী বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫২৭ ভোট। সব মিলিয়ে আরিফুল হক ভোট পেয়েছেন ৯২৫৯৮।
নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী বোরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কৃতেশ রঞ্জন দাশ জানান, তার কেন্দ্রে আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ১০৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছেন ১৭৩ ভোট। এ কেন্দ্রের মোট ভোটার ২২২১ জন।
আর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তার কেন্দ্রে আরিফুল পেয়েছেন ১০৫৩ ভোট এবং কামরান পেয়েছেন ৩৫৪ ভোট। এ কেন্দ্রের মোট ভোটার ২৫৬৬ জন।
এর ফলে আরিফুল হক চৌধুরী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান চেয়ে মোট ৬ হাজার ২০১ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হলেন। আারিফুল মোট ভোট পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৮ এবং কামরান পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৩৯৭।
এর আগে স্থগিত এ দুই কেন্দ্রে শনিবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ভোট চলাকালে দুই কেন্দ্রের কোনোটিতেই তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে গাজী বোরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় পাঁচজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ভোট চলাকালে মেয়র পদে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরে তারা দু’জনেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলার কথা জানান।
৩০ জুলাই সিলেট নির্বাচনের ভোট চলাকালে গোলযোগের কারণে গাজী বোরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল। শনিবার মেয়র পদের পাশাপাশি এই দুই কেন্দ্রে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদেও ভোটগ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান।