জিপি নিউজঃ বিয়ের মাত্র তিন পরই হাতের মেহেদী মুছতে না মুছতেই লাশ হতে হল শিখা আক্তার (১৮) কে । ঢাকার দোহারে শ্বশুরবাড়ির পুকুর থেকে এই নববধূর কলসিবাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিখা আক্তার (১৮) ওই এলাকার রুহুল আমীনের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে রহুল পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উপজেলার উত্তর জয়পাড়ার মিয়াপাড়া এলাকার পুকুর থেকে সোমবার সন্ধ্যায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোহার থানার ওসি শেখ সিরাজুল ইসলাম।
আটককৃতরা হলেন- রুহুলের চাচা মো. খোকন (৫০), মা আসমা বেগম (৪৫), বোন ফারিয়া আক্তার (১৮) এবং ভাবি মোহনা আক্তার (২০)।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি সিরাজুল বলেন, দোহারঘাটা এলাকার কুয়েত প্রবাসী মো. সিরাজের মেয়ে শিখার সঙ্গে গত শুক্রবার রহুলের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
রবিবার রাত থেকে শিখার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো হদিস মেলেনি। এক পর্যায়ে সোমবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ির পুকুরে কচুরিপানার নিচে গলায় কলসিবাঁধা অবস্থায় শিখার লাশ তার বাবার বাড়ির লোকজন খুঁজে পায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় বলে জানান ওসি।
এদিকে লাশ পাওয়ার ঘটনায় শিখার আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়র রুহুল আমীনদের বাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া শিখা হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ করে শিখার গ্রামের লোকজন।
ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি সিরাজুল।