জিপি নিউজ: ব্যাপক খোঁজাখুজির পর শেষ পর্যন্ত স্টিভ রোডসকেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে বাছাই করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
প্রধান কোচ হিসেবে স্টিভ রোডসকে বাছাই করার মাধ্যমে দীর্ঘ ৮ মাস পর অভিভাবক পেতে যাচ্চে টাইগাররা। ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত টাইগারদের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সাবেক এই ইংলিশ ক্রিকেটার।
রোডস এর আগে কোনো দেশের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করেননি। তবে ইংলিশ কাউন্টি দল উস্টারশায়ারের হয়ে কোচিং করিয়ে বেশ সাফল্য পেয়েছেন তিনি। আগামী বিশ্বকাপ যেহেতু ইংল্যান্ডে এজন্য তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। জাতীয় দলের হয়েও অবশ্য তার বেশি দিন খেলার অভিজ্ঞতা নেই। ইংল্যান্ডের হয়ে ১১ টেস্ট খেলেছেন তিনি। ওয়ানডে ক্যাপ পরেছেন ৯ ম্যাচে। তবে উস্টাশায়ারের হয়ে ২০ বছর খেলেছেন তিনি।
বাংলাদেশ দল ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে কোচ ছাড়া আছে। এরই মধ্যে কোচ ছাড়াই বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট ও টি২০ সিরিজ খেলেছে। খেলেছে জিম্বাবুয়ে-শ্রীলংকাকে নিয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে ত্রিদেশীয় সিরিজ। এরপরে শ্রীলংকার টি২০ ফরম্যাটে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছে। বর্তমান বাংলাদেশ দল ভারতের দেরাদুনে আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলছে।
তবে জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার আগেই কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়। মধ্যে কোচ নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ গ্যারি কারস্টেন। স্টিভ রোডস সাবেক ভারতীয় কোচ কারস্টেনের সুপারিশে থাকা এবং বাংলাদেশের করা সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা কোচ বলে এর আগে নিজামউদ্দিন জানান। এছাড়া বাংলাদেশের কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায় যাদের নাম ছিল তাদের মধ্যে রোডসই বেশি অভিজ্ঞ বলে উল্লেখ করেন বিসিবি’র প্রধান নির্বাহি।
বাংলাদেশ দলের সম্ভব্য কোচ হতে পারেন রোডস এমন ইঙ্গিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহি নাজিমউদ্দিন আগেই দিয়েছিলেন। কোচ নিয়ে বাংলাদেশের পরিকল্পনা বিষয়ে রোডস জানতে চাইলে তাকে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৯ বিশ্বকাপ এবং ২০২০ সালে টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তির বিষয়ে জানানো হয়।