জিপি নিউজঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের আর হারাবার কিছু নেই। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বক্তৃতার সময় শেষ, এখন সময় রুখে দাঁড়াবার।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে রচিত ‘রণধ্বনি’ গানের সিডি মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা আলমগীর আরো বলেন, ‘এখন সময় শেষ, আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। দেশনেত্রীকে যেভাবে আটক রাখা হয়েছে, তা একেবারেই বেআইনি। হাইকোর্ট বেল (জামিন) দিয়েছেন। এরপরও নানা কৌশলে মাসের পর মাস বেগম খালেদা জিয়াকে আটক রেখেছে। উচ্চতর আদালত ছুটির কথা বলে প্রলম্বিত করছে।’ তিনি বলেন, ‘এসব বললে আদালত অবমাননা হয় কি না। হলেও কিছু যায়-আসে না, এখন তো আর আমাদের হারানোর কিছু নেই।’
তিনি বলেন, আজকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন সময় এসেছে রাস্তায় নামার। সময় এসেছে রুখে দাঁড়াবার, প্রতিহত করার। আমরা বারবার বলেছি আলোচনা করুন, নির্বাচন নিয়ে কথা বলুন। কিন্তু তারা কথায় কথায় বলে সংবিধান অনুযায়ী সব কিছু হবে। যে সংবিধান তারা কেটে-কুটে নিজেদের মতো করে নিয়েছে ।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে দেশ রক্ষায় নামতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক। গায়ের জোরে তাকে আটক রাখার মানে হলো গণতন্ত্র পুরোপুরি ধ্বংস করা, মানুষের অধিকার, মানুষের ভোটাধিকার নষ্ট করে এক ব্যক্তির শাসন নিশ্চিত করা। এ সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতার চেতনা হত্যা করেছে। সময়টা এতই খারাপ, আজকাল বাসায়ও জড়ো হয়ে কথা বলতে পারে না মানুষ। আমরা পাকিস্তানের আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, এরশাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু তখন আজকের মতো এত ভয়াবহ সময় ছিল না।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অত্যাচার-নির্যাতনের দিক থেকে এ সরকার অতীতের সকল স্বৈরশাসককে হার মানিয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগের মতো দল এভাবে শাসন করছে। অথচ আওয়ামী লীগ একটি পুরোনো দল। তারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে একসময়। কিন্তু আজ তারাই গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় নয় শুধু, এক ব্যক্তির শাসন শুরু করেছে। আমাদেরকে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এ দানবকে প্রতিহত করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে একটি অর্থবহ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও রণধ্বনি সিডির শিল্পী মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু প্রমুখ।
-গিয়াস/জিপি নিউজ-