জিপি নিউজঃ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বোর্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ক্রমশঃ উন্নতির ধারা অব্যাহত রয়েছে।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরেও ফলাফলের সূচকে বেশকিছু ইতিবাচক লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। এ বছর ২৩ টি বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছে। সকল শিক্ষা বোর্ডে অভিন্ন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে উত্তরপত্র মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।
তিনি বলেন, গত বছরের ন্যায় এ বছরও উত্তরপত্র মূল্যায়নে অবমূল্যায়ন বা অতিমূল্যায়ন রোধে বোর্ডসমূহ বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। প্রধান পরীক্ষকগণকে উত্তরমালা প্রণয়নের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এ তথ্যগুলো খুবই ইতিবাচক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত নানা পদক্ষেপ, শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকগণের অক্লান্ত প্রচেষ্টাসহ সমগ্র শিক্ষা পরিবারের সার্বিক সহযোগিতায় এ অবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গতবারের মত এবারও সম্পূর্ণ পেপারলেস ফল প্রকাশিত হচ্ছে। বোর্ড কর্তৃক সরবরাহকৃত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় নির্ধারিত সময়ে ফল পৌঁছানো হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার কমলেও শিক্ষার মান বেড়েছে। পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে পরিবর্তন আসায় আগের মতো খাতা না দেখে নম্বর দেওয়া বন্ধ হয়েছে। ছোটখাট ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, ঝরে পড়া কমছে। নতুন ছাত্ররা টিকে থাকছে। এটা বিরাট ব্যাপার। আগে ছিল কিছু লোকের জন্য শিক্ষা, এখন সবার জন্য শিক্ষা। এটা আমাদের সব থেকে বড় অগ্রগতি।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ইতিবাচক দিক হলো পাসের হার কমেছে। আমরা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছি। মূল্যায়নে সমতা আনার জন্য এই পরিবর্তন। শিক্ষকরা যাতে ভালো করে খাতা দেখেন, ভালো করে না দেখেই যেন নম্বর না দেন, সেদিক থেকে ভালো করে খাতা দেখার ফলে পাসের হার কমেছে।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার মানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতবারও পাসের হার কমেছে, এবারও পাসের হার কমেছে। তবে দেখা দরকার মূল্যায়নটা সঠিক হয় কিনা। আমাদের শিক্ষার্থী বাড়ছে। সবাই ফেল করছে তা নয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী (কারিগরি ও মাদ্রাসা) কাজী কেরামত আলী, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হকসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সুত্র- বাসস