জিপি নিউজঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে নথি আসার পর আদেশ দেবেন বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজকের মতো শুনানি মুলতবি ঘোষণা করে এ সিদ্ধান্ত দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি শহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
শুনানি শুরু হওয়ার আগে আদালতে উভয় পক্ষের বিপুল সংখ্যক আইনজীবীদের উপস্থিতি দেখে ভীড় কমানোর নির্দেশ দেন দুই বিচারপতি। দশ মিনিটের সময় দিয়ে এজলাশ থেকে নেমে খাস কামরায় চলে যান তারা। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে বিচারকরা এজলাশে ফিরে এলে শুনানি শুরু হয়। শুরুতে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। এরপর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। পরে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের গ্রহণযোগ্যতা এবং জামিন আবেদনের শুনানি হয়। আদালত আপিল আবেদন গ্রহণ করে জরিমানা স্থগিতের আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
ওইদিন আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে আপিল শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। বৃহস্পতিবার আদালতের সিদ্ধান্তের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান জানিয়েছিলেন, শর্ট সেনটেন্সে সাধারণত জামিন দেয়া হয়। এজন্য আপিল আবেদনে জামিনের প্রসঙ্গটা ছিল। পরে বিচারককে জানানে হয় যে আলাদা জামিন আবেদনও প্রস্তুত করা আছে। পরে সেটা জমাও দেয়া হয়। কিন্তু এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা নথিপত্র পেয়েছেন দেরিতে। তারা পর্যালোচনার জন্য যুক্তিসম্মত সময় পায় নি। এজন্য জামিনের বিষয়টি বাদ দিয়ে শুনানি করার অনুরোধ জানান তারা। এর প্রেক্ষিতে রবিবার বেলা দুটায় জামিন শুনানি হবে বলে সিদ্ধান্ত দেন আদালত।
জামিন শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ছাড়াও উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মইন খান, জয়নাল আবেদীন ফারুক, আসিফা আশরাফি পাপিয়া, বরকত উল্লাহ বুলু, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।