জিপি নিউজঃ প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে নির্বাচন নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার প্রয়াস চালিয়েছেন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট’র উদ্যোগে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
মওদুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল তার ভাষণে বলেছেন- নির্বাচনকালীন একটি সরকার গঠন করা হবে। কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কোনো ব্যবস্থা এই সংবিধানে নেই। এ কথাটি বলে তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। মূল কথা হল- এই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, সেটিই তিনি বলার চেষ্টা করেছেন’।
নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া এবং সেনা মোতায়েন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে কিছুই বলেননি বলে হতাশ প্রকাশ করেন মওদুদ।
তিনি বলেন, ‘পুরো জাতির প্রত্যাশা করেছিল যে, আগামী নির্বাচন কীভাবে দেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করা যায়, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কিছু একটা বলবেন। কিন্তু সে ব্যাপারে তিনি কিছুই বলেননি’।
বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা নাকচ করে আসা শেখ হাসিনা যে অবস্থান বদলাননি, তার ভাষণে তা স্পষ্ট বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের যে ফিরিস্তি দিয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন করেন সাবেক এ মন্ত্রী।
মওদুদ বলেন, ‘এই ভাষণে দেশের সত্যিকারের চিত্র তিনি তুলে ধরেননি। তার এ ভাষণ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ-দুঃখ-কষ্ট নিরসন করতে পারেনি’।
তিনি বলেন, যে উন্নয়নের মেলার কথা বলা হয়েছে, এটি উন্নয়নের মেলা নয়, দুর্নীতির মেলা বসানো হয়েছে। প্রত্যেকটি উন্নয়নের পেছনে যে ব্যাপক দুর্নীতি, সেটি সবাই জানেন। উন্নয়নের নামে দেশে যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে, তার কোনো ফিরিস্তি প্রধানমন্ত্রী দেননি’।