জিপি নিউজঃ মিজানুর রহমান নাম তার। পেশায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। পুলিশি পদবির এ দাপটে যেন ধরাকে সরাজ্ঞান করার অবস্থা। পদ এবং অস্ত্র দুটোরই অপব্যবহার করে রাজধানীর এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াকে অপহরণ, সম্ভ্রমহানি, অস্ত্রের মুখে বিয়ে করতে বাধ্য করানোসহ যে কান্ড ঘটিয়েছেন তা সব সিনেমার কাহিনীকে হার মানাবে। গা শিওরে উঠবে সবার।
মিজানুরের কাছে সব খুইয়ে নির্যাতিতা সেই তরুণীর আক্ষেপ-‘কেনই বা সে আমাকে জোর করে বিয়ে করল, কেনই বা ৪ মাস সংসার করল আর কেনই বা আমাকে জেলে পাঠাল- তা বুঝতে পারছি না। আমি কোনো প্রতারক নই। আমি ডিআইজি মিজানের বৈধ স্ত্রী। সে আমার সঙ্গে এতদিন সংসার করল। কিন্তু স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ছবি আপলোড করায় চরম ক্ষেপে যায়। বাসা ভাংচুরের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। এখন শুনছি, আমার বিরুদ্ধে ভুয়া কাবিন করার অভিযোগ এনে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। যে কারণে আমি প্রথম মামলায় জামিন পেলেও দ্বিতীয় মামলায় ফের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আমি রাষ্ট্র ও সমাজের কাছে এর সুবিচার চাই। কেন আমার মতো অবিবাহিত মেয়ের জীবন এভাবে একজন ক্ষমতাধর ডিআইজি ছিন্নভিন্ন করে দিল?’
এ কথাগুলো মরিয়ম আক্তার ইকোর। বয়স আনুমানিক ২৫। সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিবেদক তার সাক্ষাৎকার নিতে সক্ষম হন। এতে এ বিয়ের আগে-পরের চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ৫০ লাখ টাকার ভুয়া কাবিনসংক্রান্ত মামলার তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে অকল্পনীয় ও নজিরবিহীন এ ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা শোনা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সুন্দরী মেয়েকে ফাঁদে ফেলে কিভাবে তার কানাডার বিয়ে ভেঙে দেয়াসহ পুরো পরিবারের সুখস্বপ্ন চুরমার করে দেয়া হয়েছে। অনুসন্ধান করতে গিয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জনৈক সংবাদ পাঠিকার সংযোগও পাওয়া যায়। যার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ককে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে পড়ে।