জিপি নিউজঃ পাবলিক পরীক্ষা থেকে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে দেয়া উচিত, এটি শিক্ষার্থীদের ধ্বংস করছে, বিভিন্ন দুর্নীতির পথ তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। সহজ ও নতুন করে লেখা নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞানের ছয়টি পাঠ্যবই হস্তান্তর উপলক্ষে সচিবালয়ে মঙ্গলবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সচিব আরও বলেন, ‘এমসিকিউ পরিপূর্ণভাবে তুলে দেয়া উচিত। এটা এ কারণে যে, এমসিকিউ শিক্ষার্থীদের ধ্বংস করছে। যে কোনো উপায়ে শিক্ষককে কনভিন্স করে ওই কক্ষের সব ছাত্রছাত্রী যাতে এমসিকিউয়ের পূর্ণ নম্বর ৩০ পেতে পারে, বেশকিছু প্রতিষ্ঠান সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এটা অর্থের বিনিময়ে হচ্ছে বলে আমাদের কাছে রিপোর্ট আসছে। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমরা নিশ্চয়ই আগামীতে আপনাদের (শিক্ষাবিদ) সঙ্গে বসব।’
২০১০ সালে সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর পর থেকে লিখিত পরীক্ষার মোট নম্বরের ৪০ শতাংশ এমসিকিউ নেয়া হচ্ছে, উল্লিখিত অভিযোগের কারণে গত এসএসসি পরীক্ষা থেকে ৩০ শতাংশ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন হচ্ছে। এখন শিক্ষা সচিব সেটাও তুলে দেয়ার ব্যাপারে মত প্রকাশ করলেন। তিনি এমসিকিউয়ের আরেকটি নেতিবাচক দিক উল্লেখ করে বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী ভুল উত্তর দিচ্ছে। এটি এ পদ্ধতির আরেকটি ধ্বংসাত্মক দিক। এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, শিক্ষার্থী সব বিষয়ে আশির ওপরে নম্বর পেয়েছে। কিন্তু একটি বিষয়ে সৃজনশীলে ৮০ পাওয়ার পরও শুধু এমসিকিউতে আলাদাভাবে ১০ নম্বর না পাওয়ায় পাস করতে পারেনি। দেখা গেল, ওই বিষয়ে ১০-এর পরিবর্তে ৭-৮ পেয়েছে। এ কারণে ছাত্রটি ফেল করেছে।
Facebook Comments