জিপিনিউজঃ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি বললেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডক্টরস অ্যাসোসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন
ড. মোশাররফ বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে সরকার। দেশের মানুষ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না ।
তিনি বলেন, জনগণ আওয়াজ তুলেছে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে, সেজন্যই আমরা জনগণের পক্ষে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোসহ দশ দফা দাবি ঘোষণা করেছি। ২৪ ডিসেম্বর পুলিশ সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিয়েছে। পঞ্চগড়ে আবদুর রশিদ নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। তবুও কিন্তু গণমিছিল ঠেকাতে পারেনি। নির্যাতন নিপীড়নে দমানো যাবে না বিএপির আন্দোলন। ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল সফল হবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মামলার আসামি না হয়েও তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্বরোচিত ক্র্যাকডাউন চালিয়েছে। যা স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ চিন্তা করতে পারে না। অফিসে লুটপাট ও তছনছ করেছে। প্রায় সাড়ে চারশ নেতাকর্মীকে একসঙ্গে গ্রেপ্তার করেছে। তারা ঢাকাসহ সারাদেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারপরও আমাদের গণসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি।
জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে গণসমাবেশ সফল করেছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, সরকার তাদের পেটুয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে গণসমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল। রাস্তায় অবরোধ ও পরিবহন ধর্মঘট করেছে। ৯ জনের বেশি কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তবুও কিন্তু আমাদের বিভাগীয় ও ঢাকার গণসমাবেশ পণ্ড করতে পারেনি। বরং জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।
সরকার গায়ের জোরে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে দাবি করে মোশাররফ আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। মধ্যবিত্তরা দরিদ্র হয়ে গেছে। সেজন্য জনগণ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। বিচার ব্যবস্থা দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। এই সরকার বিচার বিভাগ মেরামত করতে পারবে না।