জিপি নিউজঃ আমরা এখন বর্বর আদিমযুগে বাস করছি বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ।
আজ বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাষানী ভবনে ‘জিয়া মঞ্চ’ আয়োজিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ও দোয়া মাহফিল পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
কয়েকদিন আগে নিউমার্কেটে মারামারি ও হত্যাকান্ডের কথা উল্লেখ করে রিজভী আহমেদ বলেন, এই হেলমেট বাহিনী কারা, যারা বর্বর কায়দায় অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে নাহিদকে হত্যা করেছে। আসলে এরা হলো ২০০৬ সালে লগিবৈঠা দিয়ে যারা মানুষ হত্যা করে লাশের উপর নেচেছিল তাদেরই উত্তরসরি । যারা হেলমেট পরে সেদিন হত্যাকান্ড চালিয়েছে তাদের সকলের ছবি বিভিন্ন পত্রিকায় বেরিয়েছে । তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী অথচ পুলিশ মামলা দিয়েছে বিএনপির নামে, গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপির নেতাকে । পুলিশের মুখপাত্র এবিষয়ে কোন বিবৃতি দেন নাই কেন। কারন পুলিশ এখন জনগণের না তারা শেখ হাসিনার ব্যাক্তিগত লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে । তাদের কোন বিবেক নাই, মানবতা নাই তারা শুধুমাত্র তাদের শক্তি দিয়ে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য । একারনেই শেখ হাসিনা জনগণকে কোন তোয়াক্কা করে না, গণতন্ত্র, নির্বাচন, ভোট তোয়াক্কা করেন না শুধু তোয়াক্কা করেন পুলিশ র্যাবকে ।
কলাবাগানের তেঁতুলতলা খেলার মাঠে পুলিশের ভবন নির্মানের প্রতীবাদে মা-ছেলেকে থানায় ১২ ঘন্টা আটক রাখা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, বাংলাদেশে কোন আইনে আছে বিনা মামলায় মানুষকে থানায় এতক্ষন আটকে রাখা যায়। তাহলে ঢাকা থেকে খেলার মাঠ , পানির লেক, পরিবেশের জন্য গাছ হারিয়ে যাবে আর মানুষ তাঁর কোন প্রতিবাদ করতে পারবে না এর কারণ কি । কারণ একটাই সরকার জনগণকে ত্যাজ্য করে পুলিশের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে ।
রিজভী বলেন, দেশে এই পরিস্থিতি চলতে পারে না, এই অন্যায়, অনাচারের পতন হবেই।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, জিয়া মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ ইকবাল । এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, মৎস্যজীবীদলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়াসহ জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিনের নেতৃবৃন্দ।