জিপি নিউজঃ ফ্যাসিবাদের হাত থেকে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে আমাদের একটা ‘আনক্লীনড ব্যাম্বো’ নিয়া রাস্তায় দাঁড়াতে হবে বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ।
আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া মঞ্চের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, আমরা বর্তমান সরকারকে যেন শক্তিশালী মনে না করি। আমরা শুধু এক সঙ্গে বলতেই হবে- এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি। আজকে সবার ঐক্য দরকার, সবার একমত হওয়া দরকার যে, এই ফ্যাসিবাদে হাত থেকে গণতন্ত্র উদ্ধার করা। গণতন্ত্র উদ্ধার না হলে ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, বলার স্বাধীনতা সব স্বাধীনতাই হরণ হয়। আর যখন বলার পথ রুদ্ধ হয় তখনই কিন্তু অন্য কিছু আসে যা মানুষ পছন্দ করে না। এজন্য আমাদের প্রয়োজনে ঝাঁড়ু নিয়ে রাজপথে নামতে হবে, ‘আনক্লীনড ব্যাম্বো’ নিয়া রাস্তায় দাঁড়াতে হবে ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া মঞ্চের প্রধান আবদুস সালামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন জিয়া মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজ উল্লাহ ইকবাল।
গত শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে একটি ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, দেশে এখন আইনের শাসন নেই, আছে শেখ হাসিনার শাসন। তাদের দলের (আওয়ামী লীগ) মধ্যে টুকাটুকি কানাঘুষা চলছে শোনা যায়।
শুনতে পাচ্ছি গত পরশু তাদের ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়েও চড়থাপ্পর বিনিময় হয়েছে। গণমাধ্যমে আসেনি। দলের মধ্যেই যখন এই অবস্থা সেখানে আমার আপনার দরকার নেই। তারা তারাই যথেষ্ট।
দেশের সকল প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে সরকার এবং রাষ্ট্র দুই শব্দ যে আলাদা এই সরকার তা বুঝতে চায় না। আজকে প্রশাসনিক রোলারদের মতো তারা বিচার বিভাগকেও নিয়ন্ত্রণ করছেন, পরিচালিত করছেন। বিচার বিভাগকে হস্তক্ষেপ করা বা নিয়ন্ত্রণ করার ন্যুনতম সুযোগটা কিন্তু দন্ডনীয় অপরাধ। নৈতিকভাবে কোনো আইনে তারা এটা পারে না। কিন্তু মন্ত্রীরা যখন বক্তৃতা দেয়, পরেরদিন যদি কোনো বিচারের জাজমেন্ট হয়- দেখা যায় মন্ত্রীদের কথা হুবহু সেটাতে আছে। তার মানে ওমুক অ্যারেস্ট হবে, অমুকের ফাঁসি হবে, অমুকের জেল হবে, দেখবেন জাজমেন্টটা তেমন হয়। তার মানে কী ? কোনো সাবজুডিস বিষয়ে যখন সরকারের মন্ত্রীরা যদি কথা বলে সেখানে আদালত প্রভাবিত হতে পারে। সাবজুডিস বিষয় কথা বলা নিষিদ্ধ। কিন্ত তারা এটা অনবরত করে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, প্রমাণ নেই, আমরা শুনতে পাই সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহাকে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। এই যদি হয় একজন বিচারপতির অবস্থা।
ক্ষমতাসীন সরকার-পুলিশ আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, এক হয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন করছে বলেও অভিযোগ করেন গয়েশ্বর।
গিয়াস/জিপিনিউজ
বিস্তারিত ভিডিও দেখুনঃ