জিপি নিউজঃ বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার স্বাধীনতার স্বপ্ন ভেঙে খান খান করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের দেশকে যারা পুনর্গঠন করবে তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন। তারা এ দেশকে মেধাশূণ্য করার লক্ষে পরিকল্পিতভাবে আমাদের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছে। ঠিক তেমনিভাবে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশের অর্জনগুলোকে, জাতির অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আমরা আজকে একটা গণতন্ত্র বিহীন, জনগণের অধিকার বিহীন অবস্থার মধ্যে বিরাজ করছি।’
আজ শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের যিনি ঘোষণা দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আজকে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, বুদ্ধিজীবী যারা স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের কথা, স্বাধীনতা যুদ্ধের যিনি ঘোষণা দিয়েছেন তার সহধর্মিনী, তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছেন, নিগৃহীত হয়েছেন, বন্দি হয়েছেন, তাকে (খালেদা জিয়া) আজকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আজকে যখন আমাদের নেত্রী কারাগারে, যখন আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে, মিথ্যা মামলায় আজকে গণতান্ত্রিক দলগুলোকে স্তব্দ করে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে, বিএনপিকে যখন নির্মূল করার চেষ্টা হচ্ছে সেই সময়ে আজকে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যেটা সমস্ত জাতির ঐক্য। আজকে সম্পূর্ণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সবাইকে সংগ্রাম করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের এনআরসি যে বিষয়টা আমরা প্রথম থেকেই বলছি, আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং এনআরসি আমাদের স্বার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি বলে মনে করছি। অতীতেও আমরা উল্লেখ করেছি, আজকে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে- এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র উপমহাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে, সংঘাত সৃষ্টি করবে। এবং রাজনীতির যে মূল বিষয়গুলো ছিল উদারপন্থী গণতান্ত্রিক রাজনীতি, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি সেই বিষয়গুলো ধ্বংস করে দিয়ে একটি সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এ ধরনের প্রয়াস চালানো হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আজকে এই দিনে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পথ অনুসরণ করে দেশের স্বাধীনতাকে স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করবার জন্যে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্যে আমারা আমাদের সংগ্রামের আরও গতি বাড়াব, সংগ্রামকে আরও বেগবান করব। ইনশাআল্লাহ, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিজয় অর্জন করব। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ন-মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।