জিপি নিউজঃ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মঙ্গলবার বলেন, বিএনপি ‘নেতিবাচক ও অসুস্থ’ রাজনীতি করছে। তাই এই দল থেকে আরো অনেক সিনিয়র নেতা বের হয়ে যাবে।
তথ্যমন্ত্রী তার সচিবালয়ের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংকালে বলেন, ‘বিএনপি’র রাজনীতি বিগত ১১ বছর ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে কেন্দ্র করেই চলছে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি সাধারণ মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের নিজ স্বার্থে রাজনীতি করে, গণমানুষের জন্য নয়। তারা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে এবং সাধারণ মানুষের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এ জন্য দলটি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের একটি মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি’র সিনিয়র নেতারাও আর দলে থাকবে না। অদূর ভবিষ্যতে বিএনপি সামনে তাদের পরিণতি স্পষ্ট হয়ে যাবে। ‘অনেক মানুষের মতো আমিও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে তিনি কখন বিএনপি ত্যাগ করবেন।’
ড. হাছান বলেন, বিএনপি’তে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। ‘দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। বিদেশ থেকেই সকল সিদ্ধান্ত আসছে। বিএনপি’র সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আর এ জন্যই দলটি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র অনেক নেতা বিভিন্ন স্তরের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগে আর একজন বিএনপি নেতাকেও নেওয়া সম্ভব নয়।’
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)’র পক্ষ থেকে গাম্বিয়া মামলাটি করেছে। দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর জন্য মামলাটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই মামলাটি রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করবে বলে আমি আশা করছি।’
তিনি আরো বলেন, গাম্বিয়া এর আগে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর জন্য মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-তে মামলা করে। তারা আন্তর্জাতিক আদালতটিতে এই ঘটনার আশু তদন্তের আবেদন জানায়।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া উভয়েই ওআইসিভুক্ত দেশ। এছাড়াও বাংলাদেশ, গাম্বিয়া ও মিয়ানমার ১৯৪৮ জেনোসাইড কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান বলেন, শহীদ নূর হোসেন সম্পর্কে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার বক্তব্য দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, ‘নূর হোসেন বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ ও স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লিখেছিলেন, যা গণতন্ত্রের প্রতীক। যুবলীগের এই নেতা ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর শাহাদাত বরণ করেন। রাজধানীতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে তিনি শহীদ হন।’
হাছান বলেন, ‘ভুল বুঝতে পেরে এই মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় আমি রাঙ্গাকে ধন্যবাদ জানাই।’
সুত্র- বাসস