জিপি নিউজঃ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস (৩৭) কে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ আসনের বিধায়ক ছিলেন।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা নাগাদ ফুলবাড়ি এলাকায় একটি স্বরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি করে বলে খবর। ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেয় চিকিৎসকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে কে বা কারা তাকে গুলি করেছে তা এখনও পরিস্কার নয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শাটার (রিভলবার) উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, এদিন সন্ধ্যায় ফুলবাড়ি এলাকায় একটি স্বরস্বতী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন ওই বিধায়ক। এ সময় মঞ্চে তৃণমূল বিধায়ক ছাড়াও মন্ত্রী রত্মা ঘোষ এবং জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গৌরিশঙ্কর দত্ত ছিলেন। তারা মঞ্চ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরই সেখানে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেসময় মঞ্চ ছেড়ে দর্শকাসনে একেবারে প্রথম সারিতে বসে অনুষ্ঠান দেখছিলেন সত্যজিৎ বিশ্বাসসহ জেলার তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। সে সময়ই হঠাৎই চেয়ার থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দেখা যায় কপাল থেকে রক্ত ঝড়তে থাকে। এরই মধ্যে ভিড়ে মিশে যায় আততায়ীরা। মূহুর্তের মধ্যেই রক্তাক্ত সত্যজিৎ বিশ্বাসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাকে।
জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন সত্যজিৎ। তাঁর মৃত্যুর খবর শোনার পরই হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসসহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা ও অসংখ্য মানুষ।
নদীয়া জেলার পুলিশ সুপার রুপেশ কুমার জানান, ‘আমরা একটি দেশীয় প্রযুক্তিকে তৈরি রিভলবার উদ্ধার করেছি। মনে করা হচ্ছে, বিধয়াককে খুন করতে এটি ব্যাবহার করা হয়েছিল।’