জিপি নিউজঃ আজ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৩৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে উপচ্ছায়ায় চাঁদের প্রবেশের মাধ্যমে গ্রহণটি শুরু হবে। বেলা ১টা ৪৮ মিনিটে শেষ হবে। চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী এক সরলরেখায় থাকলে এবং চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়লে চন্দ্রগ্রহণ হয়।
চন্দ্রগ্রহণে পৃথিবীর কাছাকাছি চাঁদ চলে গেলে তা দেখতে তুলনামূলক বড় হয়। তখন সেই চাঁদকে সুপার মুনও বলা হয়। এমন পরিস্থিতিতে চাঁদের উজ্জ্বলতা তুলনামূলক বেশি মনে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার তথ্যমতে, চাঁদ নিজের কক্ষপথে আবর্তনের যে পর্যায়ে পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, তখন সুপার মুন দেখা দেয়। এ সময় পৃথিবী থেকে চাঁদকে ১৪ শতাংশ বড় দেখায়। এর উজ্জ্বলতাও বেড়ে যায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।
আবহাওয়া অধিদফতর (বিএমডি) জানিয়েছে, বাংলাদেশে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে সকাল ১০টা ৪১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে। ১১টা ১২ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে কেন্দ্রীয় (মূল) চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে।
পূর্ণগ্রহণ শেষ হবে ১১টা ৪৩ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে। প্রচ্ছায়ায় থেকে চাঁদের নির্গমন হবে ১২টা ৫০ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডে। উপচ্ছায়া থেকে চাঁদের নির্গমন হবে ১টা ৪৮ মিনিটে। ৫ ঘণ্টা সাড়ে ১১ মিনিট স্থায়ী এ গ্রহণটির সর্বোচ্চ মাত্রা হবে ১.১৯৫৩।
বিএমডির উপপরিচালক আজিজুর রহমান জানান, দিনের বেলায় এই চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় বাংলাদেশে তা দেখা যাবে না। তবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় পুরোপুরি এবং পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর-দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু স্থানে আংশিক দেখা যাবে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইংরেজি বছরের শুরুর দিকে এ চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে দেশে দেশে নানা উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। আমেরিকার আদি বাসিন্দাদের কাছে বছরের প্রথম সুপার মুনটি ‘নেকড়ে চাঁদ’ নামে পরিচিত ছিল। তাদের বিশ্বাস, এ ধরনের পূর্ণিমায় চাদের আলোয় পৃথিবী এতটাই ভেসে যায় যে, নেকড়েরা ডেরা থেকে বেরিয়ে ডাকতে শুরু করে। এ কারণে চন্দ্রগ্রহণের এ চাঁদকে তারা লাল ‘নেকড়ে চাঁদ’ হিসেবেও উল্লেখ করে থাকেন। ২০২১ সালের আগে এ ধরনের চাঁদের দেখা আর পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।