জিপি নিউজঃ আওয়ামী লীগ, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপিকে ৬ দফা ইশতেহার দিয়েছে বহুল আলোচিত কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থান, চাকরির নিয়োগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও গবেষণা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-শিক্ষক ও যুব অ্যাসেম্বলির আলোকে ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা’ শীর্ষক একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে। যা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে তুলে ধরবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। কোটা আন্দোলনে আলোচনায় আসা এই সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, ‘এবার যাচাই করেই ভোট দেবে আন্দোলনকারীরা’।
সোমবার দুপুরে প্রথমে নিজেদের ইশতেহার ভাবনা নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে যান কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা। সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসানের নেতৃত্বে ১৮সদস্যদের প্রতিনিধি দল সেখানে যান। প্রস্তাবনাটি গ্রহণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এছাড়াও ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার সাথেও দেখা করেন কোটা আন্দোলনের নেতারা।
সেখান থেকে প্রতিনিধি দলটি ড. কামাল হোসেনের চেম্বার মতিঝিলে যান। পরে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহব্বায়ক নুরুল হক নুরুর নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যান। সেখানে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে ইশতেহার ভাবনা প্রস্তাবনাটি তুলে ধরেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা।
সাধারণ ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরু সাধারণ ছাত্র পরিষদের নেতাদের নামে যেসব হয়রানি ও মিথ্যা মামলা আছে-সেগুলো প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দাবির বিষয়গুলো আমরা ভেবে চিন্তে দেখব। মিথ্যা মামলা থাকলে আমি সেটা দেখব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবো হয়রানি ও মিথ্যা মামলা থাকলে প্রত্যাহারের জন্য। তবে ভিসির বাড়ি ভাঙচুরে উপযুক্ত বিচার হবে।
নুরু বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আমাদের নামে যে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে, তার জন্য এখনো আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়।
এর আগে ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আমরা চাই তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা হোক। সাংগঠনিকভাবে আমরা কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবো না। তবে সকলের ভোটের অধিকার যেহেতু রয়েছে, তাই আমরা যাচাই-বাছাই করেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করবো।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্য নেতারা বলেন, সত্যিকার অর্থে এ দেশের তরুণ, বিশেষ করে লাখ-লাখ শিক্ষিত বেকার কি চায়-আমাদের ইশতেহারে সেটিই উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে তারুণ্যের জন্য আলাদা প্রতিশ্রুতি দিক।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে তারুণ্যের ইশতেহার গ্রহণ করে আ ও ম শফিউল্লাহ বলেন, আমাদের যে ইশতেহার তৈরি হয়েছে, তাতে তরুণদের প্রায় সব ভাবনাই রয়েছে।