জিপি নিউজঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নসহ প্রতিবন্ধীদের জন্য বৃহৎ পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিবন্ধীদের দ্বারা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্পের মাধ্যমে মুক্তা ড্রিংকিং ওয়াটার, প¬াস্টিক কারখানায় নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী উৎপাদন ও বিপণন করা হচ্ছে। এর লভ্যাংশের পুরোটাই প্রতিবন্ধী অসহায় শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হয়।’
সোমবার আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সাম্য ও অভিন্ন যাত্রায় প্রতিবন্ধী মানুষের ক্ষমতায়ন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মেধা ও সৃজনশীলতা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব।’
সরকার প্রতিবন্ধীদের সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিরক্ষা সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩ ও ডিসঅ্যাবিলিটি কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০১৮ প্রণয়ন করেছি।’
তিনি বলেন, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি, সমন্বিত প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম, থেরাপি সহায়তা ইত্যাদির মাধ্যমে সরকার প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদানসহ তাদের উন্নয়নে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা ও বিনোদনের জন্য জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন স্কুল ও পার্ক স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২০তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের প্রতিবন্ধীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সুত্র- বাসস