জিপি নিউজঃ বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে গতকাল মনোনয়নপত্র বাছাই এর সময় শত শত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এর মধ্যে বেশিরভাগই বিরোধী দল বিএনপি এবং তাদের জোটের প্রার্থী বলে দাবি করছে বিএনপি।
নির্বাচন কমিশন বলছে, দুর্নীতি বা নৈতিক স্খলন জনিত মামলায় দণ্ড থেকে শুরু করে অনাদায়ী ঋণ এরকম নানা কারণে প্রার্থীরা অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন।
দুর্নীতির মামলায় সাজা থাকায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনেই মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
তবে বিএনপি অভিযোগ করছে, নির্বাচন কমিশনের এই কাজ একেবারেই পক্ষপাতদুষ্ট, এবং এর বিরুদ্ধে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
কতজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে?
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় নির্বাচিত প্রতিনিধি – যেমন মেয়র বা চেয়ারম্যান – তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
“কত জনের বাতিল হয়েছে এখনো সংখ্যায় বলা যাচ্ছেনা কারণ খবর এখনো আসছে। তবে সংখ্যাটা অনেক।”
তিনি বলেন, কিছু জায়গায় একেবারেই “ঠুনকো” কারণ দেখিয়ে বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
মনোনয়ন বাতিলের কারণ নিয়ে বিএনপির বক্তব্য
রুহুল কবির রিজভী বলেন নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই নিরপেক্ষ নয় এবং তফসিল ঘোষণার পর থেকে এটা প্রকট আকার ধারণ করেছে।
“সরকারের অসমাপ্ত কাজ অর্থাৎ যেগুলো তফসিল ঘোষণার আগে শেষ করতে পারিনি সেগুলোই এই নির্বাচন কমিশন করছে”।
তিনি অভিযোগ করেন, “ঢাকার দোহারের উপজেলা চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে দুদিন আগেই তিনি ঢাকার জেলা প্রশাসক অর্থ্যাৎ রিটার্নিং অফিসারের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। কিন্তু সেটা গ্রহণ করা হয় নি।”
“পরবর্তীতে চেয়ারম্যান পদ না ছাড়ার কারণ দেখিয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।”
রুহুল কবির রিজভী জানান, দিনাজপুরের মেয়র ও জয়পুরহাটের একজন উপজেলা চেয়ারম্যানও একই কথা তাদেরকে জানিয়েছেন।
“এসব জনপ্রতিনিধিরা জনপ্রিয়। তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য নানা পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশন করেছে। সে কারণেই যাচাই বাছাই থেকে অনেককে বাদ দেয়া হয়েছে”।
বাতিলের বিরুদ্ধে কী করবে বিএনপি?
জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা আইনি পদক্ষেপ নেবেন।
“প্রথমে তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন এবং পরে প্রয়োজন আদালতে যাবেন।”
বিভিন্ন আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নে বিষয়ে তিনি বলেন, “শুরু থেকেই বুঝতে পারছি নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্দেশেই কাজ করছে।”
“বিএনপিকে তারা একটা কঠিন পরিস্থিতিতে রাখতে চাইবেন। অনেক যোগ্য প্রার্থীকে বিনা কারণে বাদ দিতে চাইবে। এসব কারণেই এটা করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, এখন দলটি দেখবে আইনি লড়াইয়ে কী ফলাফল আসে।
সুত্র- বিবিসি-