জিপি নিউজঃ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গরা বলেছেন, শুধু সরকার চাইলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একমাত্র দাবি হওয়া উচিত নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন।
বিশিষ্টজনের মধ্যে ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার , সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সি আর আবরার, আইনজীবী জ্যোতির্ম্ময় বড়ুয়া, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কর্তৃক আয়োজিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ও সুষ্ঠু নির্বাচন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই মতামত দেন ।
আলোচনা সভায় বক্তারা ইভিএম সংযুক্ত করে আরপিও সংশোধনের সমালোচনা করে বলেন, আইনকে অস্ত্রে পরিণত করার চেষ্টা দেখছেন তাঁরা।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, এ দেশে কোনো নির্বাচন রাজনৈতিক সরকারের আমলে সুষ্ঠু হয়নি। সুতরাং দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। এটা জোরেশোরে দাবি হওয়া উচিত।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, তিনি মনে করেন, সরকার চাইলেই শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এ সময় তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ১৯৯৬ সালে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ছিলেন। ওনার দ্বারা ১৯৯৬ এর ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হয়েছে আবার ৯৬ সালের জুনের নির্বাচনও হয়েছে। আসলে সরকার চেয়েছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইন হলো আরপিও। বর্তমান নির্বাচন কমিশন অনেকগুলো পরিবর্তনের কথা বলছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলো ইভিএম অন্তর্ভুক্ত করা। তিনি বলেন, ‘হলফনামা, আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ, এগুলোয় কর্ণপাত নেই, কিন্তু ইভিএমের ব্যাপারে অতি উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। আইনকে অস্ত্রে পরিণত করার প্রচেষ্টা কি না জানি না।’
অনুষ্ঠানে সুজনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন সুজনের সমন্বয়কারী দিলীপ সরকার।