জিপি নিউজঃ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নির্বাচন কমিশন এবং জেলা পর্যায়ে নির্বাচন অফিস অভিমুখে বিক্ষোভের কর্মসূচি দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট । বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে গ্রহণযোগ্যতা দেখায়নি। এই কমিশনের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনও সম্ভব নয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে জনআস্থাহীন বলে মন্তব্য করে এর পুনর্গঠন এবং বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবিতে জোটের পক্ষ থেকে একর্মসূচি দেয়া হয়।
বুধবার সকালে রাজধানীর পল্টনের মুক্তিভবনে জোটের কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে একর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক লিখিত বক্তব্যে কর্মসূচি ও দাবি তুলে ধরেন।
তাঁদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগে সরকারকে পদত্যাগ করে সব দল ও মতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, তফসিল ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থাসহ টাকা ও পেশিশক্তিনির্ভর নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার।
কাল বৃহস্পতিবার থেকে বাম গণতান্ত্রিক জোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসজুড়ে সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৩০ আগস্ট বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, ৮ সেপ্টেম্বর বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের সঙ্গে সভা, জোটের চার দফা দাবি আদায়ে ১০ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন অফিস অভিমুখে বিক্ষোভ, ১১ অক্টোবর দুর্নীতি ও দুঃশাসন প্রতিরোধে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভসহ সারা দেশে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে জেলা পর্যায়ে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
জোটের প্রধান নেতা সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দলীয় সরকারের অধীনের অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, এটা জনগণ বিশ্বাস করে না। বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য দলীয় সরকার নয়, একটি নিরপেক্ষ কর্তৃত্বের অধীনে যেন নির্বাচন হয়।
জাতীয় নির্বাচনে ইসির ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহারের তোড়জোড় নিয়ে জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, যেখানে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইভিএমের বিপক্ষে, সেখানে ইসির এ ধরনের পদক্ষেপ সন্দেহজনক। তিনি বলেন, মানুষের মনে এখন সন্দেহ জাগছে, সরকারি দলকে বাড়তি কোনো সুবিধা দিতে ডিজিটাল কারচুপির জন্য এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ফিরোজ আহমদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ প্রমুখ।