জিপি নিউজঃ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন নেইসলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অস্ট্রিয়ার স্টাইরিয়া রাজ্যে এই বিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মি: পুতিন নেচেছেন কারিন নেইসলের সাথে।
মি: পুতিন অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপহারও দিয়েছেন।
তাঁকে বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কারিন নেইসল।
অস্ট্রিয়ার সরকারবিরোধী রাজনীতিকরা অভিযোগ করেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়ে কারিন নেইসল ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিকে তাচ্ছিল্য করেছেন।
অস্ট্রিয়ার নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন নেইসলের বয়স ৫৩ বছর।
তিনি স্টাইরিয়া রাজ্যের ভিনিয়ার্ডে ব্যবসায়ী ওলফগ্যাং মেইলঙ্গারকে বিয়ে করেছেন।
কারিন নেইসল কোনো দলের সাথে সম্পৃক্ত নন।
স্বতন্ত্র হিসেবে তাঁকে পরাষ্ট্রমন্ত্রী করেছে অস্ট্রিয়ার দক্ষিণপন্থী ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বাধীন বর্তমান জোট সরকার।
ধারণা করা হয়, এই ফ্রিডম পার্টির সাথে রাশিয়ার ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সাথে যোগাযোগ আছে।
পুতিন কী উপহার দিলেন অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে?
মি: পুতিন ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেন এবং সেই ফুল তিনি তুলে দেন কনে অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে।
তাঁর সাথে ছিল রাশিয়ার সংগীত শিল্পীদের একটি দলও।
এই শিল্পীরা বিয়েতে গান পরিবেশন করেন।
রাশিয়া প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বলেছেন, বিয়েতে অংশ নেয়া অতিথিরা শিল্পীদলের পারফর্মেন্সের প্রশংসা করেছেন।
বিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক
বিতর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিকে তাচ্ছিল্য করারও অভিযোগ আনা হয়েছে অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন নেইসলের বিরুদ্ধে।
আস্ট্রিয়া যেহেতু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ। সেই যুক্তি দিয়ে মিজ নেইসলের বিরোধীরা এমন অভিযোগ করেন।
এমনকি অস্ট্রিয়ার গ্রীন পার্টি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে কারিন নেইসলের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মি: পুতিনের এই সফরের জন্য অস্ট্রিয়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করা হয়।
এই নিরাপত্তার জন্য করদাতাদের উপর বাড়তি চাপ পড়বে বলেও রাজনীতিকদের অনেকে অভিযোগ করেছেন।
গণমাধ্যমেও বিতর্ক অব্যাহত
গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিয়েতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আসার বিষয়টি মাত্র সাতদিন আগে ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে মি: পুতিনের মুখপাত্র বলেছেন, এ বছরের এপ্রিলে মি: পুতিন যখন অস্ট্রিয়া সফর করেছেন, তখন তাঁকে এই বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
তিনি জার্মানি যাওয়ার পথে এই বিয়েতে যোগ দিয়েছিলেন।
মি: পুতিন জার্মানির উত্তর বার্লিনে চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেলের সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন তিন ঘন্টা সময় ধরে।
সেখানে তারা সিরিয়া এবং ইউক্রেনের সমস্য নিয়ে আলোচনা করেন।
ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি তাদের এই আলোচনায় অগ্রাধিকার পেয়েছে।
এদিকে, গ্যাস সরবরাহের পাইপ লাইন নির্মাণের প্রকল্প বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিয়ে আসছে জার্মানিকে।
সুত্র- বিবিসি-