জিপি নিউজঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ শনিবার শপথ নিয়েছেন তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান ইমরান খান। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের ২২ গজের ক্যাপ্টেন এখন ২২তম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। দেশটির জাতীয় পরিষদের ভোটে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
শপথের পর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইমরান। সকাল সাড়ে ৯টায় শপথ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ৩০ মিনিট দেরি হয়েছে।
বানিগালা আবাসিক এলাকা থেকে কালো শেরওয়ানি পরে ইমরান ইসলামাবাদে আওয়াম-ই-সদর বা প্রেসিডেন্ট ভবনে যান। তার স্ত্রী বুশরা খান আগেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এর পর প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসেন তাকে শপথ পড়ান।
অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের অতিথিদের মধ্যে ছিলেন, দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাসিরুল মুলক, জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার, সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া, বিমান বাহিনীর প্রধান মুজাহিদ আনওয়ার খান ও নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল জাফর মাহমুদ আব্বাসী।
এছাড়াও ছিলেন, ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার নভজিত সিং সিধু, রমিজ রাজা, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম।
শুক্রবার জাতীয় পরিষদের ভোটে প্রার্থী ছিলেন দুইজন। একজন হচ্ছেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেতা ইমরান খান এবং অপরজন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ।
এদিন দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় পরিষদের নব নির্বাচিত প্রতিনিধিরা উপস্থিত হওয়ার পর ভোট শুরু হলে প্রত্যাশিতভাবেই তাতে জিতে যান ক্রিকেটার থেকে রাজনীতি বনে যাওয়া ইমরান খান।
তাকে ভোট দেন ১৭৬ সদস্য। অন্যদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহবাজ পান ৯৬ ভোট।
গত জুলাইয়ের নির্বাচনে ইমরান খানের পিটিআই পার্লামেন্টে বেশির ভাগ আসন পেয়েছিল। ছোট দলগুলো নিয়ে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি তখনই একরকম নির্ধারিত হয়ে যায়।
সেই ছোট দলগুলোর সাহায্যেই শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীত্ব নিশ্চিত হল ইমরানের। রাজনীতি জগতে পা দেয়ার দীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশি সময় পর তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বাড়তে থাকা অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত একটি দেশ হাতে পাচ্ছেন ইমরান। তবে এ অবস্থা থেকেই একটি নতুন পাকিস্তান গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
নির্বাচনের আগেই বিবিসি কে ইমরান বলেছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে প্রথমেই অর্থনীতির দিকে নজর দেবেন।
গত ২৫ জুলাইয়ে সাধারণ নির্বাচনের পর ইমরান কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসারও অঙ্গীকার করেছিলেন। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি পারষ্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়তে চান বলে জানিয়েছিলেন তিনি।