জিপি নিউজঃ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে।
ইন্টারনেট এখন মানুষের মৌলিক অধিকারের পর্যায়ে উপনীত হয়েছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা ও একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা।’
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ‘আইটিইউ-বিটিআরসি এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহের রেগুলেটর রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স ২০১৮’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর সদস্যপদ লাভ এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বহির্বিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগ কানেকটিভিটি স্থাপনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তরের কর্মসূচি গ্রহণ করেন। মোবাইলের মনোপলি ব্যবসা ভেঙ্গে দিয়ে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেন। কম্পিউটারের ট্যাক্স-ভ্যাট প্রত্যাহার করে তা সকলের জন্য সহজ লভ্য করেন।’
গত নয়বছরে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের অগ্রগতি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্কে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশে মহাকাশে ৫৭ তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনকারী দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুনিয়ার গুটিকয়েক দেশের মধ্যে একটি দেশ যারা ৫-জি পরীক্ষা করেছি। ৫-জি প্রযুক্তিতে আমরা পিছিয়ে থাকবো না।’
ডিজিটাল এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় আঞ্চলিক টেলিকম নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ অঞ্চলের দেশসমূহকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ অঞ্চলের দেশসমূহের রেগুলেটরদের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। সামগ্রীকভাবে ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবের বিকাশ যাতে ব্যাহত না হয় এই নীতিতে কাজ করার জন্য তিনি এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিকম রেগুলেটরদের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন (আইটিইউ) এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক আইওনি করইভউকী, এপিটি (এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি) সেক্রেটারি আরউইন হাওরাঙফি এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
তিন দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে এ অঞ্চলের ২৬টি দেশের ৪২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। আগামী ৮ আগস্ট সম্মেলন শেষ হবে।
সুত্র- বাসস-