জিপি নিউজঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ৬ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
১০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এসব কর্মসূচি শেষ হবে ১৫ আগস্ট।
শিশু একাডেমির পরিচালক শিশু সাহিত্যিক আনজির লিটন বাসসকে জানান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে অন্যান্য বারের মতো এবারও শিশু একাডেমি শিশু কিশোরদের অংশ গ্রহণে ছয় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে শিশুদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতাও রয়েছে।
শিশু একাডেমি বাসসকে জানায়, ১০ আগস্ট সকাল সাড়ে নয়টায় শিশুদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনো’- শীর্ষক উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানামালা শুরু হবে। এতে তিনটি বিভাগে প্রতিযোগিতায় শিশুরা অংশ নেবে। ১৪ আগষ্ট বিশেষ রচনা লিখন প্রতিযোগিতা হবে তিনটি বিভাগে।
বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আমাদের জাতির পিতা’, ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ এবং ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’-শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে থাকবে, বিশেষ শিশু সংখ্যা পাঠের আয়োজন ও পুস্তক প্রদর্শনী। প্রদর্শিত হবে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ’- শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
আনজির লিটন জানান, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক ২৬টি গ্রন্থ ক্রয় করছে এবার ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুদের সন্মানিত করা হবে।
জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট উপলক্ষে একাডেমির পত্রিকা শিশু-এর বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হবে।
এদিনে সকল প্রতিষ্ঠানের মতো একাডেমি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখবে ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কোরানখানির আয়োজন করা হবে। এ ছাড়াও রয়েছে আমন্ত্রিত ছড়াকারদের ছড়াপাঠ, প্রশিক্ষণার্থী শিশুদের স্বরচিত কবিতা ও ছড়াপাঠ এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
সুত্র- বাসস-