জিপি নিউজঃ আগেই ব্যাপক সহিংসতায় উত্তাপ ছড়ানো পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে জিতে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান।
সাড়ে দশ কোটিরও বেশি ভোটার এ নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেতা সাবেক তারকা ক্রিকেটার নির্বাচনে নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগকে হারাবেন বলে আশা করছেন।
আর এটি করতে পারলে সার্থক হবে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন।
যদিও দেশটির মানবাধিকার কমিশন বলছে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার ব্যাপক চেষ্টা তাদের চোখে পড়েছে।
নির্বাচন উপলক্ষে দেশজুড়ে লাখ লাখ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
জাতীয় পরিষদের ২৭২ টি আসনের জন্য এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ইমরান খানের সময় এসেছে?
স্থানীয় সময় সকাল আটটার মধ্যেই বহু এলাকায় ভোট কেন্দ্রের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন অনেক ভোটার।
তাদের সবার মনেই একটি প্রশ্ন নি:সন্দেহে ঘুরপাক খাচ্ছে- আর তা হলো- ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কি-না।
নব্বই এর দশকের শেষ দিকে এসে রাজনীতিতে নেমেছিলেন মিস্টার খান।
তার আগেই ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দিয়ে দেশটির বড় তারকায় পরিণত হয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু রাজনীতিতে নামার অনেক পরে ২০১৩ সালে এসে রাজনীতিতে সত্যিকার অর্থেই প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা ইমরান খান।
নিজে বড় ব্যবধানে হেরেও প্রচারণা চালিয়ে গেছেন।
কিন্তু এবারের নির্বাচনে এসে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদটির খুবই কাছাকাছি।
কিন্তু সেটি আসলে সম্ভব হবে কিনা তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ভোটের ফল পাওয়া পর্যন্ত।
নাকি সদ্য উৎখাত হওয়া প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দলই সহানুভূতি ভোট পেয়ে আবারও ফিরে আসবে ক্ষমতায়- তা নিয়েও রয়েছে বড় কৌতূহল।
নির্বাচনে প্রধান প্রার্থীরা কারা?
নির্বাচনে এখনো পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ আর ইমরান খানের পিটিআইয়ের মধ্যে।
৬৮ বছর বয়সী নওয়াজ শরীফ তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েও কোনোবার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।
দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এখন তিনি ও তার কন্যা আটক আছেন পাকিস্তানে।
গত বছর সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ক্ষমতা হারান মিস্টার শরীফ।
তার ভাই পাঞ্জাবের সাবেক গভর্নর শাহবাজ শরীফ এখন দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন।
আর ৬৫ বছর বয়সী ইমরান খানের দল এবার বেশ ভালো অবস্থানে আছেন মনে হচ্ছে বিশ্লেষকদের কাছে।
বিবিসিকে মিস্টার খান বলেছেন তার প্রতিপক্ষরা নির্বাচনে হারবে তাদের অতীত রেকর্ডের কারণে।
তবে নির্বাচন জিততে হলে তাকে নওয়াজ শরীফের পাঞ্জাবে বেশ ভালো করতে হবে।
যদিও নির্বাচনের আগে থেকেই পাকিস্তানের রাজনীতির প্রধান ‘খেলোয়াড়’ সেনাবাহিনী সুনজর তার দিকে আছে বলেই মনে হচ্ছে অনেকের কাছে।
নির্বাচনের আরেক বড় দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি যার নেতৃত্বে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্রোর ছেলে বিলাওয়াল জারদারি ভুট্রো।
তবে দলটি নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সুত্র- বিবসি-