জিপি নিউজঃ জেলায় আজ ভোরে পৃথক পাহাড় ধসে একই পরিবারের চার শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রূমালিয়ার ছড়ার বাচামিয়ারঘোনায় এবং রামু উপজেলার মিঠাছড়ি এলাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় এ প্রাণহানি হয়েছে। গত ৩ দিনের ভারী বর্ষণে জেলায় আরো প্রাণহানির আশংকায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান- কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রূমালিয়ার ছড়া বাঁচামিয়ারঘোনা এলাকায় বুধবার ভোরে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৪ শিশু মারা গেছে। ভোর ৬টার দিকে পাহাড়ের একটি অংশ ধসে পড়ে ওই এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল হোসেন এর বাড়ির উপর। এতে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা ৪ শিশু চাপা পড়ে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মাটির নিচে চাপা পড়া শিশুদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মৃতরা হলো জামাল হোসেন এর কন্যা মর্জিয়া আকতার (১৬), কাফিয়া আকতার (১০), খাইরুন্নেছা (৬) এবং পুত্র আবদুল খাইর (৮)। মৃতদের মা ছেনুয়ারা বেগমকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতদের মামা খোরশেদ আলম জানান- ভোর ৬টার দিকে পার্শবর্তী পাহাড়ের বড় একটি অংশ ধসে পড়ে বাড়ির উপর। এ সময়ে তাদের মা বাড়ির উঠোনে কাজ করছিলেন। তাঁর চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময়ে মসজিদের মাইকেও ঘোষণা দেয়া হয়। লোকজন এগিয়ে এসে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। মাটির নিচ থেকে ৪ শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মা ছেনুয়ারা বেগমকে মুমুর্ষ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে রামু উপজেলার মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পেচাঁরঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে মোর্শেদ আলম (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে ওই এলাকার জাফর আলম এর পুত্র। বুধবার ভোরে পাহাড়ের একটি অংশ ধসে পড়ে বাড়ির উপর। এতে চাপা পড়ে পরিবারের ৩ সদস্য। তাদেরকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ২ জনকে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ৩ দিন ধরে কক্সবাজার জেলায় ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এতে ব্যাপক হারে পাহাড় ধসের আশংকা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জেলার বিভিন্ন স্থানে সতর্ক সংকেত দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে।
সুত্র- বাসস-