জিপি নিউজঃ কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের হামলায় আহত মাহমুদুর রহমান ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া থেকে সড়কপথে অ্যাম্বুলেন্সযোগে যশোর পৌঁছান। সেখান থেকে বিমানযোগে ঢাকায় ফেরেন। বিমানবন্দরবন্দর থেকে মাহমুদুর রহমানকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় ইউনাইটেড হাসপাতালে।
কুষ্টিয়া আদালত প্রাঙ্গণে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। রবিবার বিকাল সাড়ে চারটায় আদালত থেকে বের হলে আদালত প্রাঙ্গনেই এই হামলার শিকার হন তিনি। পরে মহিলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট সামস তামিম মুক্তির চেম্বারে আশ্রয় নিলে ছাত্রলীগ সেখানেও হামলা চালায়। গতকাল সকালে মাহমুদুর রহমান কুষ্টিয়া আদালতে যান ৫০০ ধারার মানহানি মামলায় জামিন নিতে। হাজির হওয়ার পর আদালত জামিনও মঞ্জুর করেন তার ।
পরে পুলিশি প্রটেকশনে ঢাকার পথে রওনার নির্দেশ দেন আদালত। রওয়ানা হবার আগেই আদালত এলাকায় জমায়েত হয় সরকার দলীয় স্থানীয় কর্মী সমর্থকরা। তারা মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দিতে থাকে স্লোগান। হামলার আশংকায় মাহমুদুর রহমান কুষ্টিয়া সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট এম.এম মোর্শেদের আনুমতি নিয়ে তার আদালতে আশ্রয় নেন। কিন্তু তার পরেও কুষ্টিয়ায় আদালত এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন।
আদালতে মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন কুষ্টিয়া বারের সিনিয়র আইনজীবি প্রিন্সিপাল আমিরুল ইসলাম, বিএফইউজে মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীসহ অনেকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তার ওপর বৃষ্টিরমত ইট-পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। তার মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। হামলার আগে মাহমুদুর রহমান আদালত কক্ষ থেকে ফেসবুক লাইভে নিজের নিরাপত্তাও দাবি করেন। নিরাপত্তার জন্য ওসির সহযোগিতা চাইলে ওসি কোন সাড়া দেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি ।