জিপি নিউজঃ ডিজিটাল জালিয়াতি করতেই সরকার ইভিএম মেশিনে জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণের তোড়জোড় শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার আরেকটি ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং করতেই জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ তারা জানে জনগণের সমর্থন তাদের সাথে নেই। আর সেই জন্য ভোট কারচুপি করে নিজেদের পক্ষে ফলাফল নিতেই ইভিএম ব্যবহারের তোড়জোড় শুরু করেছে। ইভিএম সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থী। বাংলাদেশের ভোটাররা ইভিএম মানতে নারাজ।
ভোটাধিকার হরণের এই পদ্ধতি ব্যবহার চুপিসারে ডিজিটাল অন্তর্ঘাত। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সংলাপ চলাকালে ও পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে না। কিন্তু হঠাৎ করে পুরোনো ভুত জেগে উঠলো কেন? আসলে এই ইভিএম ব্যবহারের নির্বাচন কমিশনের মহা আয়োজনের কল কাঠি নাড়ছে বর্তমান সরকার।
রিজভী আহমেদ বলেন, ইসি সচিব বলেছেন, জাতীয় সরকার নির্বাচনে ব্যপকভাবে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত রয়েছে কমিশনের। গত সোমবার তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে আড়াই হাজার ইভিএম মেশিন কেনা হয়েছে। আরো ২৬০০ কোটি টাকার ইভিএম মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি।
এই বিতর্কিত মেশিন নিয়ে সরকারের কেন এত তোড়জোড় সে বিষয়ে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। সরকার কেন এ অগ্রহণযোগ্য বিতর্কিত মেশিন কিনতে উন্মুখ সেটা কারো বুঝতে বাকী নেই। আমরা জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের দাবি থেকে সরে আসতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানাচ্ছি।
আগামীকালের সমাবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমাবেশের সব প্রস্তুতি হাতে নিয়েছি। পুলিশকেও এ বিষয়ে অবহিত করেছি। আমাদের দুজন প্রতিনিধি মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গেছেন তার সাথে কথা বলতে। আমরা আশা করছি প্রশাসন আমাদের সমাবেশের অনুমতি দিবে।
ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, কবির মুরাদ, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আওয়াল খান প্রমুখ।