জিপি নিউজঃ বিএনপি’র পূর্বঘোষিত সমাবেশ কর্মসূচীর অনুমতি না পাওয়ায় রবিবার রাজধানীর সকল থানায় বিক্ষোভ করবে দলটি । শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এই বিক্ষোভের ঘোষণা দেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিৎসা এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল দলটি। কিন্তু সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় রবিবার রাজধানীর প্রতি থানায় থানায় বিক্ষোভের ঘোষণা দেয় রিজভী আহমেদ। একই দাবিতে আগামী সোমবার ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতীকি অনশন কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে যেন বেগম খালেদা জিয়া বিহীন আরেকটি জাল ভোটের নির্বাচন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা যায়। প্রধানমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যেও সে রকম ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে। কিন্তু পাতানো নির্বাচনের ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসবে না।
তিনি আরো বলেন, আইন, আদালত, প্রশাসন, পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শেখ হাসিনা হাতের মুঠোয় নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় খুলনা ও গাজীপুরে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। তিনি মনে করছেন- খুলনা মডেলে জাতীয় নির্বাচন করে তিনি এভাবেই পার পেয়ে যাবেন। ক্ষমতাকে ধরে রাখতে পারবেন। শেখ হাসিনার সকল ষড়যন্ত্রে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। নীলনকশার নির্বাচনের ছক জনগণের কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে। আবারো একটি একতরফা ভোট ডাকাতির নির্বাচন এদেশের মানুষ হতে দিবে না। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা যাবে না। চারদিকে শেখ হাসিনার সরকারবিরোধী আওয়াজ শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিদায় এখন অত্যাসন্ন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, আতাউর রহমান ঢালী, আইন বিষয়ক সম্পাদক- অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।