জিপি নিউজঃ কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ প্রধান নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব নদীর অববাহিকায় ২৫টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রে ৩৫ ও দুধকুমারে ৩২, ধরলায় ৪৬ ও তিস্তায় ২৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২৮ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সদর উপজেলার হলোখানার সারোডোব এলাকায় মেরামত করা একটি বাঁধ ভেঙে ৪টি ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ২টি স্থানে মেরামত করা বাঁধ ও একটি বাঁশের পাইলিংসহ ১০টি পরিবারের ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী উপজেলার ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাজারহাট উপজেলার কালুয়ারচর এলাকায় মেরামত করা বাঁধটি ভেঙে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী বালুর বস্তা ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, রাতে তিনি নিজে থেকে বাঁধ রক্ষার কাজ তদারক করেছেন। এই বাঁধটি ভেঙে গত বছরের বন্যায় কুড়িগ্রাম- রংপুর সড়কসহ বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জানান, বন্যা মোকাবেলার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।