প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বিস্তারিত জানতে : ০১৬৭৬৩৬৯৪১৫
প্রচ্ছদ | জাতীয় | আন্তর্জাতিক | খেলাধুলা | বিনোদন | রাজনীতি | লাইফ স্টাইল | শিক্ষাঙ্গন | অর্থ বানিজ্য | আইন আদালত | আবহাওয়ার নিউজ | ইতিহাস ঐতিহ্য | এক্সক্লুসিভ নিউজ | কৃষি সংবাদ | চাকরির খবর | সারাদেশ | সাহিত্য সংস্কৃতি | স্মৃতিতে অম্লান | জীবন ও দর্শন | বিজ্ঞান প্রযুক্তি

ঢাকা-দিল্লী সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : May, 25, 2018, 8:48 pm

ঢাকা-দিল্লী সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

জিপি নিউজঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা পুরোপুরি কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন উভয় দেশ ভবিষ্যতেও সহযোগিতার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের কৌশলগত বন্ধুত্বকে অপরাপর বিশ্বের জন্য ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা দিতে পারি যে, উভয় দেশ সহযোগিতার এই মনোভাব ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবে।’
এখানে আজ বিকেলে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথভাবে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন সুদৃঢ় এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে।
তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে এটি ছোট এক টুকরো বাংলাদেশ, যেখান থেকে বাংলাদেশের চেতনা প্রতিপালিত হবে। রবীন্দ্রনাথের এই প্রভাব নিজস্বভাবেই অনন্য হয়ে উঠবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ভবন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতীক হয়ে উঠবে। তিনি শান্তিনিকেতনে আসার জন্য এবং তার সঙ্গে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের সুযোগ লাভের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর কেশরিনাথ ত্রিপাঠি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সবুজ কলি সেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা এবং সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, কবি, গায়ক এবং শিল্পীসহ উভয় দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে একত্রে চলতে চায় এবং এ লক্ষ্যে দু’দেশের মধ্যকার সব সমস্যার নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে আমাদের এখনো কিছু সমস্যা রয়েছে, যা আমি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশের স্বার্থে এখানে তা উত্থাপন করতে চাই না। অবশ্য আমি বিশ্বাস করি যে বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে যে কোন সমস্যার সমাধান করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত ৯ বছরে বিভিন্ন খাতে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি তাঁর দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন যে, পারস্পরিক সহযোগিতা পূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারত আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধনে সক্ষম হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ভবন দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভবন হবে এমন একটি অনন্য কেন্দ্র যেখানে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান, রবীন্দ্রনাথ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে লেখাপড়া ও গবেষণা করতে পারবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত চত্বরে বাংলাদেশ ভবন স্থাপনে তিনি অভিভূত।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব ভারতী চত্বরে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, পশ্চিম বাংলা সরকার, ভারত সরকার ভারতের বন্ধুভাবাপূর্ণ জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, দ্বিতল এই ভবনটি নির্মাণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় ২৫ কোটি রুপি ব্যয় করেছে এবং এই ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কারের জন্য তিনি ১০ কোটি রুপির এককালীন তহবিল দেয়ার ঘোষণা দেন।
গবেষকদের সুবিধার জন্য এই ভবনে একটি লাইব্রেরি, অডিটোরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডিজিটাল সরঞ্জামাদিসহ যাদুঘর, আর্কাইভ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করলেও তিনি বাংলাদেশকে তাঁর হৃদয়ে ঘনিষ্ঠভাবে ধারণ করে রেখেছিলেন। তিনি তার জীবনের কিছুদিন বাংলাদেশের পতিসার, শিলাইদহ এবং শাহাজাদপুরে কাটিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ এসব জায়গায় তাঁর জমিদারী পর্যবেক্ষণের জন্য সফর করেন। তিনি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সর্বদা উদ্বিগ্ন থাকতেন এবং সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থাকতেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের পল্লী এলাকার প্রকৃতিকে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন এবং পল্লীর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য তিনি কৃষিভিত্তিক সমাজ ও অসাধারণ গান, কবিতা, উপন্যাস ও ছোট গল্প রচনা করতেন। পতিসারে তিনি কৃষি সমবায় এবং ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব ভারতীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মাত্র কিছুদিন আগে। তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ‘দেশীকুট্টুম’ পুরস্কার লাভের পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে তাঁর সম্পর্ক।
শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়েছেন। ১৯৪৮ সালে তৎকালীন তরুণ ছাত্র নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি তাদের মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার সংগ্রাম শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত ধরে ১৯৬১ সালে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশত বার্ষিকীতে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীনরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বন্ধের উপর নিকৃষ্ট পদক্ষেপ নেয় এবং রবীন্দ্রনাথে সব কাজকর্ম বন্ধ করে দেয়। আমাদের দেশের জনগণ এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রবীন্দ্রনাথের চেতনাকে আমাদের অন্তরে ধারণ করে রাখার জন্য সংগ্রাম করেছি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রবীন্দ্রনাথের গান আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং সাহস ও শক্তি যুগিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাটি জীবন ক্ষুধা দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছেন। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও বিশ্বাস করতেন সমাজে বৈষম্য দুর না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ব কখনোই উন্নতি লাভ করবে না। তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রতিপাদ্য ছিল ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এই নীতি প্রণয়ন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ সকল প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এই দু’দেশের জনগণের মধ্যে অভিন্ন ঐতিহাসিক, সামাজিক, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক এবং আবেগঘন সম্পর্ক রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার পর ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা গান্ধি তাঁকে এবং তাঁর বোন শেখ রেহানাকে আশ্রয় দেয়ায় ভারতের জনগণের প্রতি তিনি ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের জনগণ এই সমর্থন কখনো ভুলবে না।

সুত্র- বাসস

Facebook Comments
Share Button

সম্পাদক- ডাঃ মো: মেহেদী হাসান সূইট, যুগ্ম-সম্পাদক- মোঃ আলিউল হক পলাশ, নির্বাহী সম্পাদক : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদক- মোঃ জাবের ইবনে হায়াত খান
জিপি নিউজ২৪ ডট কম, ৮৭, পল্টন টাউয়ার, লেবেল-৮, পুরানা পল্টন লাইন, ঢাকা-১০০০ কর্তৃক প্রকাশিত
মোবাইল : ০১৭১৯-৪৭৭১১৩, নিউজ : ০১৭১১-০৫৬৫৭২, ০১৬৭৬৩৬৯৪১৫
Email : gias.gpnews24@gmail.com

Desing & Developed BY ThemesBazar.Com

শিরোনাম :
★★ মেয়র তাপসের প্রতিহিংসার স্বীকার ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের যে দাবী ★★ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলা হাইকোর্টে বাতিল ★★ বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে ★★ পুলিশের সাবেক ডিসি জসিম উদ্দিন হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে ★★ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম ★★ জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের ২৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ★★ স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীরা মাথাচাড়া দিচ্ছে : তারেক রহমান ★★ ‘আমার দেশ’ পুনঃপ্রকাশে সরকারের সহযোগিতা চান মাহমুদুর রহমান ★★ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস এর রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল   ★★ জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ