জিপি নিউজঃ তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগের অসংখ্য ভুলে ভরা এক লাইনের একটি চিঠি নিয়ে রহস্য তৈরী হয়েছে এবং তারেক রহমান আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট জমা দিয়ে ট্রাভেল পারমিট নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের কষ্টার্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে লন্ডন সফরকারী বিশাল বহরের একমাত্র অর্জন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সংগ্রহ করা তারেক রহমানের ২০০৮ সালে ইস্যু করা পাসপোর্টের তিনটি পাতা। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগের অসংখ্য ভুলে ভরা এক লাইনের রহস্যজজনক একটি চিঠির ফটোকপি নিয়ে যথেষ্ট রহস্য রয়েছে। ব্রিটিশরা এই ধরনের ভুল করতে পারেনা। কি বিচিত্র এই সরকার! কি দুর্বল তাদের অপকৌশল! আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে স্পষ্ঠ ভাষায় দেশবসীকে জানাতে চাই যে, তারক রহমান জন্মসূত্রে বাংলাদেশের একজন গর্বিত নাগরিক। তিনি তার এই প্রিয় দেশের নাগরিক ছিলেন, আছেন থাকবেন এবং বাংলাদেশের জনগনের নেতৃত্ব দেবেন ইনশাআল্লাহ।
মির্জা আলমগীর বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই দেশের আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট জমা দিয়ে ট্রাভেল পারমিট নিয়েছেন। সরকারের লোকদের পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করেছেন মর্মে যে প্রচার চালাচ্ছে তা রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।
তিনি বলেন, তারেক রহমান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান। তিনি একজন সম্মানিত নাগরিক। তার বিরুদ্ধে সরকার ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রাচার বন্ধের জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের লোকজনের এসব বক্তব্য-বিবৃতির কারণে তারেক রহমানের জীবন এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু , আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।