জিপি নিউজঃ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সিআইএ’র সাবেক পরিচালক জেমস কমি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার কোনো নৈতিক অধিকার ট্রাম্পের নেই, যিনি নারীদের ‘মাংসের টুকরা’ বলে মনে করেন। ট্রাম্প বিপজ্জনক এবং প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক রীতিনীতির তিনি ভয়াবহ ক্ষতি করছেন বলেও মন্তব্য করেছেন কমি।
রবিবার এবিসি নিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মে মাসে ট্রাম্পই কমিকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেন। বরখাস্তের পর এই প্রথম কোনো টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিলেন সাবেক এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
তবে ইতোমধ্যে তিনি একটি বই লিখে ট্রাম্পের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দিয়েছেন। ‘অ্যা হাইয়ার লয়ালিটি- ট্রুথ লাইস অ্যান্ড লিডারশিপ’ শীর্ষক ওই বইটি মঙ্গলবার প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও বইটির বিষয়বস্তু বা গুরুত্বপূর্ণ দিক আগেই প্রকাশ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
রবিবার রাত ১০টায় কমির সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে এবিসি টেলিভিশন। তবে এটি প্রকাশের আগেই কমি মিথ্যা বলেছেন বলে বিবৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প।
সাক্ষাৎকারে জেমস কমি বলেন, ট্রাম্প প্রতিনিয়ত ছোট-খাট বিষয় নিয়েও মিথ্যা বলছেন, যা ন্যায়বিচারকে বাধাগ্রস্ত করবে।
সিআইএ’র সাবেক পরিচালক বলেন, আমি মনে করি না, তিনি (ট্রাম্প) মানসিক কারণে প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য। বরং আমি মনে করি, তিনি নৈতিক কারণে প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য।
সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ হওয়ার পর ট্রাম্পের ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকান পার্টির ন্যাশনাল কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, কমি তার প্রকাশিতব্য বইয়ের বিক্রি বাড়াতে এসব কথাবার্তা বলছেন।
কমি জানিয়েছেন, ট্রাম্প তাকে (কমি) তার পক্ষে কাজ করার অফার দিয়েছেন এবং এ বিষয়ে তাদের একান্ত বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর ট্রাম্প টুইটারে বলেছেন, তিনি কমিকে এ ধরনের কোনো অফার দেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার। সেই তদন্তও বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী এই কমি।
এ ব্যাপারে কমি বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, ট্রাম্প যে তদন্ত বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে তার যথাযথ প্রমাণ রয়েছে।