জিপি নিউজঃ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপি ‘বন্দি মুক্তি’ আন্দোলনে যাবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক যুব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ‘বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার প্রতিবাদ ও সন্ধানের দাবি’ শীর্ষক এ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশে একটি নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করব এবং সেই নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও কারাগারে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা যে আছেন, তাদেরকে আমরা মুক্ত করব। বন্দি মুক্তি আন্দোলন করব। তবে আমরা সহজে নির্বাচনকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে চাই না।
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন করার ফলে নির্বাচন অর্থবহ হবে না। তাই এটা আমাদের আদায় করে নিতে হবে। একারণে সংশোধনী সংবিধান আবারো সংশোধন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বা দেশের সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। এটাই আমরা চাই।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে নোমান বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সেনা বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আমরা সেনা বাহিনী মোতায়েন চাই। এটা আজ জাতির দাবি।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের এ বক্তব্যে উল্লেখ করে নোমান বলেন, একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত তিনি। আর এরশাদ আমাদের চেয়ে একটু ভালো জানবেন। কারণ কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি আলাদাভাবে মিটিং করেছেন। আর সেই মিটিংয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এরশাদ উপলব্ধি করতে পেয়েছেন, হাসিনা অনেক দুর্বল হয়ে গেছেন। এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতার শেয়ার নিতে হবে। আর শেয়ারটা এবার যথপযুক্তভাবে নিবেন বলে এরশাদ আশা ব্যক্ত করেছেন।
বিএনপিও কিছুটা বিপদে আছে মন্তব্য করে দলটির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকারের আচরণ ও নির্যাতন কারণে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা আর পিছনে যেতে পারব না। আমরা পিছনে না গেছে আওয়ামী লীগ সামনের দিকে আসবে। আর সামনের দিকে এলে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। আমরা সেই সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিকে এড়িয়ে যেতে চাই। তাই আমরা বারবার আন্দোলন ও ভোটের কথা বলি। কিন্তু আমাদের আন্দোলন ভোট থেকে বিচ্ছিন্ন নয়।