জিপি নিউজঃ জাতীয় পার্টি সম্মানের সঙ্গে নেই। কোথাও গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারি না। লজ্জা লাগে। আমরা কি সরকারি দলে নাকি বিরোধী দলে আছি?
মঙ্গললবার সংসদে প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে দলটিন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলাম মন্ত্রিসভা থেকে আমাদের পার্টির সদস্যদের প্রত্যাহার করুন। কিন্তু সেটা হয়নি।
এভাবে টানাটানি করে বিরোধী দল হওয়া যায় না। এ সময় সংসদে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে বাইরে অনেক কথা হয়। আপনি বলেন বিরোধী দলের দরকার নেই। আমাদের সবাইকে মন্ত্রী বানাইয়া দেন। আমরা বাইরে গেলে নানা কথা হয়। বলে আপনারা কোথায় আছেন সরকারে, না বিরোধী দলে। আমরা বলতে পারি না। কাজেই এটা যদি করতেন তাহলে জাতীয় পার্টি বেঁচে যেত। জাতীয় পার্টি আজ সম্মানের সঙ্গে থাকতে পারতো। জাতীয় পার্টি এখন সম্মানের সঙ্গে নেই।
রওশন এরশাদ বলেন, আরো এক বছর আছে, দেখেন সেটা। আপনি নির্দেশ দিলে মানবে না কে? আপনি তো দিলেন না? এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় আমি তো বলেছিলাম। রওশন এরশাদ বলেন, না দেন নাই, দেন নাই, না. না.. না।
তিনি বলেন, আমরা কোথাও কথা বলতে পারি না। সাংবাদিকরা ধরলেই বলেন, আপনারা কোথায় আছেন। কোথাও কথা বলতে পারি না। লজ্জা লাগে। আমরা সরকারি দল না বিরোধী দল।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি বলতে পারেন বিরোধী দলে আছে? আমরাও বলতে পারি না। রওশন এরশাদ বলেন, পদ্মা সেতু শুরু হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। এখনো কাজ চলছে। এখন সেখানে বালু উত্তোলন চলছে। পদ্মা সেতুর আশপাশে অনেকে জায়গা দখল করে হোটেল-মোটেল তৈরি করেছে। এগুলো তৈরির আনুমতি কে দিয়েছে? কারা দিয়েছে? এসব হলে পদ্মা সেতু রিস্কের মধ্যে পড়ে যাবে। এগুলো দেখা দরকার।