জিপি নিউজঃ শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আজ রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
গতকাল ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আশপশের এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শণ ও পর্যবেক্ষণ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ একথা বলেন।
জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে গেছে উল্লেখ করে র্যাব ডিজি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর থেকে দিনভর সারাদেশে কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতা যেন না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হবে।
তিনি বলেন, এ উপলক্ষে গোয়েন্দা নজরধারী বাড়ানো হয়েছে। নাগরিকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা করা প্রয়োজন র্যাবের পক্ষ থেকে সবই করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব মহাপরিচালক বলেন,, জঙ্গিদের স্পেসিফিক কোনো থ্রেট নেই কিংবা নির্দিষ্ট কোনও হুমকি নেই। তবুও আমরা সবসময় সতর্ক থাকি। বিষয়টা মাথায় রেখেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রীয় অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সবসময় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া র্যাবের নিজস্ব গোয়েন্দারাও প্রতিনিয়ত জঙ্গিদের গতিবিধির প্রতি নজর রাখছেন।
তিনি বলেন, রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে ৫টি সেক্টরে বিভক্ত করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় আমাদের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখান থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এলাকা মনিটরিং করা হবে। এ ছাড়া বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ও স্পেশাল ইউনিটও সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। পোশাকধারী সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। সার্বক্ষনিকভাবে ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে শহীদ মিনার এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এর আগে আজ সকালে র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ও সুইপিং টিম পুরো শহীদ মিনার এলাকা পর্যবেক্ষণ ও সুইপিং করে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান, উপ-পরিচালক মেজর রইসুল আযম মনি,সহকারী পরিচালক মেজর আব্দুল্লাহ আল মেহেদীসহ র্যাবের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সুত্র- বাসস