জিপি নিউজঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি ও অধিক উৎপাদনশীল জাতের বীজ উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, কৃষির উৎকর্ষ ব্যতিরেকে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। ‘কৃষিবিদ দিবস’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মূলত কৃষি, কৃষক ও কৃষিবিদ যেন একই সুতোয় গাঁথা এবং পরস্পর নির্ভরশীল। কৃষিবিদ তথা কৃষিবিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি ও অধিক উৎপাদনশীল জাতের বীজ ব্যবহার করে কৃষক আজ ষোলো কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছে। বেড়েছে শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য উৎপাদনও। ‘আমি আশা করি, কৃষিবিদ ও কৃষিবিজ্ঞানীগণ তাদের মেধা, মনন ও উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে কৃষির আরো উন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে অবদান রাখবেন’।
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ‘কৃষিবিদ দিবস’ উপলক্ষে কেআইবি কৃষি পদক ২০১৭ ও ২০১৮ প্রদান করায় সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের উদ্যোগে কেআইবি কৃষি পদক প্রদান নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
তিনি বাণীতে উল্লেখ করেন, কৃষিকে ঘিরেই মানবসভ্যতার গোড়াপত্তন। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবনজীবিকা মূলত কৃষিকে ঘিরে। কাজেই কৃষির উৎকর্ষ ব্যতিরেকে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ উপলব্ধি থেকেই স্বাধীনতার পর পরই কৃষির উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। তিনি কৃষি ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণসহ ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ফলশ্রুতিতে কৃষিবিদরা যেমন সম্মানিত হয়েছেন তেমনি দেশে কৃষিরও ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে।
কৃষিতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ‘কেআইবি কৃষি পদক’ পেয়েছেন, রাষ্ট্রপতি তাদের আন্তরক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এ স্বীকৃতি তাদের কাজে আরো উৎসাহ যোগাবে এবং অন্যরাও কৃষির উন্নয়নে অবদান রাখতে উৎসাহিত হবেন’। তিনি কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার সাফল্য কামনা করেন।
সুত্র- বাসস